৯৬ ঘণ্টা পানির নিচে থাকার সক্ষমতা আছে সাবমেরিনটির

উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ
ফাইল ছবি: এএফপি

নিখোঁজ হওয়া পর্যটক সাবমেরিনটিকে খুঁজে পেতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার অনুসন্ধানকারী দলগুলো।

মার্কিন কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সাবমেরিনটির মোট ৯৬ ঘণ্টা পানির নিচে থাকার ক্ষমতা আছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে দর্শনার্থীদের নিয়ে রওনা দিয়ে গত রোববার নিখোঁজ হয় ‘টাইটান’ নামের সাবমেরিনটি।

যাত্রার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মাথায় ছোট সাবমেরিনটির সঙ্গে উপরিভাগের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

নিখোঁজ সাবমেরিনটিতে পাঁচজন আরোহী আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন চালক (পাইলট), বাকি চারজন যাত্রী (দর্শনার্থী)।

যাত্রীদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং (৫৮)। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও অভিযাত্রী।

সাবমেরিনটির খোঁজে মধ্য আটলান্টিক মহাসাগরে রাতভর অনুসন্ধান তৎপরতা চলে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাবমেরিনটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সাবমেরিনটির খোঁজে অনুসন্ধান তৎপরতা চলছে
ছবি: এএফপি

অনুসন্ধান তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জাহাজ-উড়োজাহাজ অংশ নিচ্ছে। উভয় দেশের নৌবাহিনীসহ বেসরকারি সংস্থাগুলো এই অভিযানে সহায়তা করছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, একাধিক সামরিক উড়োজাহাজ, একটি সাবমেরিন ও অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এই অনুসন্ধানকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই মুহূর্তে যতটা সম্ভব, ততটা এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালানোই অনুসন্ধানকারীদের লক্ষ্য।

আরও পড়ুন

জন মাগার বলেন, যে এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে, তা দূরবর্তী। বিষয়টি অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে।

টাইটান সাবমেরিনটির মালিক প্রতিষ্ঠান ওশানগেট। তারা বলেছে, সাবমেরিনটি খুঁজে আরোহীদের ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

১৯১২ সালে হিমশৈলর সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক জাহাজটি ডুবে যায়। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ১২৩ ফুট গভীরে।