প্রথম ক্লোন ভেড়া ডলির জন্ম

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ৫ জুলাই। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম।

মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল গুপ্তধন

যুক্তরাজ্যের স্ট্যাফোর্ডশায়ারে খুঁজে পাওয়া যায় গুপ্তধন
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের স্ট্যাফোর্ডশায়ারের একটি মাঠে তল্লাশির সময় বেজে ওঠে মেটাল ডিটেক্টর। পরে মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় গুপ্তধন। অ্যাংলো-স্যাক্সন আমলের পাঁচ কেজির সোনার সঙ্গে পাওয়া যায় কয়েক হাজার রত্নপাথর। এই গুপ্তধন খুঁজে পান টেরি হারবার্ট নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৯ সালের ৫ জুলাই।

যুদ্ধে আট হাজার ট্যাংক

১৯৪৩ সালের ৫ জুলাই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চলের কুরস্ক এলাকায় মুখোমুখি জার্মান ও সোভিয়েত বাহিনী। একে অপরকে ঘায়েল করতে দুই বাহিনী প্রায় আট হাজার ট্যাংক ব্যবহার করে। ভয়াবহ এই যুদ্ধে দুপক্ষই বড় ক্ষতির মুখে পড়ে। তবে শেষ হাসি হেসেছিল সোভিয়েত বাহিনী। জার্মান বাহিনীকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয় তারা।

প্রথম ক্লোন ভেড়া ডলির জন্ম

বিশ্বের প্রথম ক্লোন ভেড়া ডলি
ছবি: ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ

বিশ্বের প্রথম ক্লোন স্তন্যপায়ী প্রাণী ডলি। স্কটল্যান্ডের একটি ইনস্টিটিউটে এই ভেড়ার জন্ম। দিনটি ছিল ১৯৯৬ সালের আজকের দিন। জনপ্রিয় মার্কিন সংগীতশিল্পী ডলি পার্টনের নামে ভেড়াটির নাম রাখা হয়।

অ্যামাজনের যাত্রা শুরু

বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি অ্যামাজন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস। তিনি বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা। যুক্তরাষ্ট্রের ভেলভিউয়ে একটি গ্যারেজে ১৯৯৪ সালের ৫ জুলাই যাত্রা শুরু করেছিল অ্যামাজন। পরে প্রতিষ্ঠানটি ইতিহাস গড়েছে। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি।

প্রকাশিত হয় নিউটনের গতি সূত্র

একটি আপেল গাছের নিচে বসে চিন্তা করছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন। হঠাৎ একটি আপেল তাঁর গায়ের ওপর খসে পড়ে। আকস্মিক এই ঘটনা থেকে গতির সূত্র আবিষ্কার করেন নিউটন। পরে ‘ম্যাথমেটিকেল প্রিন্সিপালস অব ন্যাচারাল ফিলসোফি’ বইয়ে এই সূত্র যুক্ত করেন তিনি। ১৬৮৭ সালের এ দিনে বইটি প্রকাশিত হয়। বইটি লাতিন ভাষায় লেখা হয়েছিল।