চলতি বছর গণহারে মাছ মারা যাওয়ার এ ঘটনা আগের ঘটনাগুলোর তুলনায় ভয়াবহ। তিনি মনে করেন, এ ক্ষেত্রে অভাবনীয় রকমের পরিবেশগত প্রভাব পড়েছে।
রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বন্যার পর ডার্লিং নদীতে বনি হেরিং এবং কার্পের মতো মাছগুলোর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর সেগুলো এখন প্রচুর হারে মারা যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বন্যার পানি কমার পর নদীর পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে (হাইপোক্সিয়া) মাছগুলো মারা যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখন ওই অঞ্চলের আবহাওয়া উষ্ণ থাকায় হাইপোক্সিয়ার মাত্রাও বাড়ছে। শীতল পানির তুলনায় উষ্ণ পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে। তাপমাত্রা উষ্ণ থাকলে মাছের জন্য বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।
এর আগেও মেনিন্ডি এলাকার নদীতে গণহারে মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘস্থায়ী খরার কারণে নদীর পানি কমে যাওয়া এবং ৪০ কিলোমিটারের বেশি জায়গাজুড়ে বিষাক্ত শৈবাল ছড়িয়ে পড়াকে এসব ঘটনার কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০১৯ সালে নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার সতর্ক করে বলেছিল, এবারই শেষ নয়, এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
রাজ্য সরকারের মৎস্য সম্পদ বিভাগের মুখপাত্র ক্যামেরন লে বলেছেন, মৃত মাছে ভরে থাকা ডার্লিং নদীর দিকে তাকাতে অস্বস্তি হচ্ছে।
এবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যত দূর চোখ যায়, শুধু মাছ আর মাছ দেখতে পাচ্ছি। এটি একেবারে অস্বস্তিকর এক দৃশ্য।
মেনিন্ডি শহরে প্রায় ৫০০ মানুষের বসবাস। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খরা ও বন্যার কবলে পড়ে শহরটি বারবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।