চাকরি হারানোর কারণ ‘মজা’ করতে না পারা

ফ্রান্সের এক ব্যক্তির হঠাৎ চাকরি চলে যায়। কিন্তু যে অভিযোগে চাকরিটা যায়, তা একেবারেই ব্যতিক্রমী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একদমই মজা করতে পারেন না। সহকর্মীরা যখন মেতে ওঠেন হাসিঠাট্টায়, তখন তিনি তাতে যোগ দেন না, নিশ্চুপ থাকেন।

চাকরি হারিয়ে ওই ব্যক্তিও বসে থাকেননি। মামলা ঠুকে দেন অফিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মাঝে অনেক বছর কেটে গেছে। অবশেষে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছেন। মামলায় জয়ী হয়েছেন তিনি।

ওই ব্যক্তির নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে ‘টি’ নামে। তিনি প্যারিসভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কিউবিক পার্টনার্সে পরামর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ প্রতিষ্ঠান তাঁকে চাকরিচ্যুত করে।

কারণ হিসেবে বলা হয়, তিনি যথেষ্ট ‘মজার’ না। সহকর্মীরা সপ্তাহান্তে যখন আনন্দে মেতে ওঠেন, পানীয় পান করেন; তখন সেসব আয়োজনে যোগ দেন না তিনি। এতে দলগত কাজ করতে সমস্যা হয়। পরে অফিসের এমন উদ্যোগের বিরুদ্ধে আদালতে যান ওই ব্যক্তি।

চলতি মাসের শুরুতে আদালত জানিয়ে দেন, বিচিত্র এই কারণে কাউকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার যৌক্তিকতা নেই। আদালত বলেন, প্রত্যেকের স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওই ব্যক্তি সহকর্মীদের সঙ্গে কোনো আনন্দ আয়োজনে যদি অংশ নিতে না চান, তবে নিতে না–ও পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এ জন্য কাউকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি ২০১১ সালে কিউবিক পার্টনার্সের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর পর দ্রুত উন্নতি হয় তাঁর। ২০১৪ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও পরে পরামর্শক পদে পদোন্নতি পান তিনি। মূলত এর পর থেকেই সহকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁর।

ফলাফল, পরের বছরই ‘মজার’ মানুষ না হওয়ার কারণে চাকরি হারান ওই ব্যক্তি। এদিকে ওই ব্যক্তি পুরনো কর্মস্থলে ফিরতে চান কি না, তা জানা যায়নি।