আইসিজের রায়: সবগুলো বিষয়ের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন শুধু উগান্ডার বিচারক

নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) আজ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেনছবি: রয়টার্স

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) যেসব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলো এই আদালতের বিচারকদের ভোটে পাশ হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের শীর্ষ এই আদালত আজ শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতি ছয়টি বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। তার আগে বিষয়গুলো নিয়ে আইসিজের বিচারকদের মধ্যে ভোটাভুটি হয়। ১৫ জন বিচারক পক্ষে এবং দুজন বিপক্ষে ভোট দেন। দুজনের মধ্যে একজন সবগুলো বিষয়ের বিপক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন। আরেকজন দুটি বিষয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলেন।

আইসিজের বিচারক প্যানেলের প্রেসিডেন্টের পদে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জোয়ান ডানেহিউ। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন রাশিয়ার কিরিল গেভোরজিয়ান। বিচারক প্যানেলের ১৩ জন স্থায়ী সদস্য আছেন ১৩টি দেশ থেকে– স্লোভাকিয়া, ফ্রান্স, মরোক্কো, সোমালিয়া, চীন, উগান্ডা, ভারত, জ্যামাইকা, লেবানন, জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিল। এদের সঙ্গে এই মামলায় অ্যাডহক হিসেবে বিচারক প্যানেলে মামলার বাদী দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিবাদী ইসরায়েল থেকে একজন করে দুজন যুক্ত হয়েছিলেন।

ইসরায়েলি বিচারক আহারন বারাক
ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিচারক প্যানেলের সদস্যদের মধ্যে ইসরায়েলের আহারন বারাক এবং উগান্ডার জুলিয়া সেবুটিন্ডে বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আহারন বারাক ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট। তিনি ছয়টির মধ্যে দুটি বিষয়ে সমর্থন জানান। সেগুলো হল, গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের উসকানি প্রতিরোধ এবং সেখানে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়া।

আরও পড়ুন
আইসিজের বিচারক প্যানেলের সদস্য উগান্ডার জুলিয়া সেবুটিন্ডে
ছবি: আইসিজের সৌজন্যে

তবে উগান্ডার সেবুটিন্ডে সবগুলো বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করা সেবুটিন্ডে প্রথক আফ্রিকান নারী হিসেবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বিচারক প্যানেলের সদস্য হন। তিনি বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় এ দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১২ সাল থেকে এই পদে থাকা সেবুটিন্ডে ২০২১ সালে পুনর্নির্বাচিত হন।

সেবুটিন্ডে ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সিয়েরা লিওন বিষয়ক বিশেষ আদালতের একজন বিচারক ছিলেন। সেখানে তিনি বড় ধরনের যুদ্ধাপরাধ ও দুর্নীতির বিচার কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন