প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। রোজকার সব ঘটনা কি আমরা মনে রাখি? তবে কিছু বিষয় স্থায়ীভাবে দাগ কাটে মানুষের মনে, কিছু কিছু ঘটনা ইতিহাসের পাতায় উঠে যায়। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ২৫ জুলাই। চলুন দেখি, বিশ্বে এদিন কী বড় বড় ঘটনা ঘটেছিল। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম

সংবাদপত্রের পাতায় লুসি ব্রাউনের জন্মের খবর পড়ছেন একজন পাঠক
ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

লুসি ব্রাউনের জন্ম যুক্তরাজ্যে, ১৯৮৪ সালের ২৫ জুলাই। তবে আর দশটা সাধারণ শিশুর মতো ছিল না লুসি। কেননা, লুসির জন্ম হয়েছে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহার করে জন্ম নেওয়া প্রথম মানব শিশু লুসি। তাই তাঁর জন্মকে বিশ শতকের চিকিৎসাশাস্ত্রে অন্যতম উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আইভিএফ পদ্ধতিতে মূলত নারীর শরীরের বাইরে কৃত্রিম উপায়ে ভ্রূণ নিষিক্ত করা হয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটা টেস্টটিউবে ভ্রূণ নিষিক্ত করার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়ার পদ্ধতি।

আরও পড়ুন

উড়োজাহাজ চালিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি

সময়টা ১৯০৯ সালের ২৫ জুলাই। রাইট ভাইদের হাত ধরে উড়োজাহাজ আবিষ্কারের এক দশকও হয়নি। এর মধ্যেই ফরাসি বৈমানিক লুইস ব্লেরিয়ত অনন্য একটি কীর্তি গড়েন। তিনি উড়োজাহাজ চালিয়ে পাড়ি দেন ইংলিশ চ্যানেল। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া প্রথম বৈমানিক তিনি। সেই সময়ে বিশ্বসেরা বৈমানিকদের একজন ধরা হতো তাঁকে।

আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তে নয়নাভিরাম নায়াগ্রা ফলসের অবস্থান
ফাইল ছবি: রয়টার্স

নায়াগ্রায় সীমান্ত বিরোধ

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তে নয়নাভিরাম নায়াগ্রা ফলসের অবস্থান। দুই দেশ থেকেই অপরূপ এই জলরাশির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। প্রতিবছর কোটি কোটি দর্শনার্থী নায়াগ্রায় ঘুরতে যান। তবে সীমান্ত নিয়ে ১৮১৪ সালের ২৫ জুলাই এখানে বিরোধে জড়িয়েছিল দুই দেশ। এ লড়াই ‘ব্যাটল অব নায়াগ্রা ফলস’ নামে ইতিহাসে পরিচিত।

তবে শেষ পর্যন্ত কানাডা ও ব্রিটেনের যৌথবাহিনী মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করতে সক্ষম হয়।

আরও পড়ুন

মহাকাশে হাঁটেন প্রথম নারী

সেভেৎলানা সাভিস্তকায়া ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একজন নভোচারী। সোভিয়েতের সালয়ুৎ-৭ মহাকাশ স্টেশনে গবেষণার কাজে গিয়েছিলেন এই নারী।

সেখানে ১৯৮৪ সালের এই দিনে হাঁটেন তিনি। মহাকাশে হেঁটে বেড়ানো প্রথম নারী তিনি।