কুমির স্যুটকেসে নিয়ে যাত্রা

স্যুটকেস থেকে উদ্ধার হওয়া সেই কুমির
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশযাত্রার সময় সাধারণত দরকারি সব জিনিসে ঠাসা থাকে স্যুটকেস। তবে কেউ স্যুটকেসে জ্যান্ত কুমির ভরে বিদেশে যাচ্ছেন—এমন ঘটনা নিশ্চয়ই স্বাভাবিক নয়। জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে এই অস্বাভাবিক ঘটনাই ঘটেছে।

মিউনিখ বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা ছিল ৪২ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের। তল্লাশির জন্য তাঁর স্যুটকেসটি যথারীতি এক্স–রে স্ক্যানারের নিচে রাখা হয়। এ সময় স্যুটকেসে অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা। এরপর স্যুটকেসটি খুললে পাওয়া যায় জ্যান্ত একটি কুমির।

মিউনিখ বিমানবন্দরের এ ঘটনা গত মাসের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। টুইটারে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, স্যুটকেসের মধ্যে কুমিরটি কুণ্ডলী পাকিয়ে রাখা। সারা শরীরে জড়ানো পলিথিন। টেপ দিয়ে সেটির মুখ বাঁধা। অনাবৃত ছিল শুধু নাকের অংশটুকু।

বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া কুমিরটির ত্বক ধবধবে সাদা। জিনগত সমস্যা সেটির এই রঙের কারণ। উদ্ধারের পর বিমানবন্দরের কাস্টমস জানায়, বিরল এই কুমিরের শারীরিক অবস্থা নাজুক ছিল। চিকিৎসা দেওয়ার পর সেটি এখন আগের চেয়ে ভালো আছে।

তবে ভালো নেই ওই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। কুমির উদ্ধারের পর তাঁর মুঠোফোনটি জব্দ করা হয়। করা হয় ফৌজদারি মামলা। কারণ, জার্মানির বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিক অপরাধ করেছেন। সেই মামলার তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

বিশ্বে ১০০ থেকে ২০০টির মতো সাদা ত্বকের কুমির আছে। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস–এর খবরে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি কুমিরটি সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাচ্ছিলেন বিক্রির জন্য। দেশটিতে অবৈধভাবে বিরল প্রাণী কেনাবেচার বড় ব্যবসা রয়েছে। সেখানে এসব প্রাণী চড়া দামে বিক্রি হয়।