সাবমেরিন তৈরি করতে চায় যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়া

ডেভিড ক্যামেরন ও রিচার্ড মার্লেসছবি: সংগৃহীত

যৌথভাবে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির জন্য যুগান্তকারী চুক্তি এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া তাদের তিন

দেশের অকাস (এইউকেইউএস) জোট থেকে এ চুক্তির কথা জানায়। এ জোটে তাদের তৃতীয় সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ ক্ষেত্রে সাবমেরিন তৈরির খরচ, সক্ষমতা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিরে আসার মতো অনিশ্চয়তাগুলোও রয়েছে।

মূলত চীনের উত্থান ঠেকাতে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য অকাস সাবমেরিন চুক্তিতে সম্মত হয় তিন দেশ। এ চুক্তির অংশ হিসেবে তিন দেশের প্রতিরক্ষাপ্রধানেরা অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন সরবরাহ করার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এনেছেন।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেন, ‘চুক্তির সঙ্গে যুক্ত তিনটি সরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দ্রুতগতিতে কাজ করছে। এটা ঘটতে যাচ্ছে আর আমাদের এটা ঘটতে দেওয়া প্রয়োজন।’

তবে মাত্র দুই বছর আগে করা এই জোট ও তাদের গৃহীত প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে। অনেকের ধারণা, ট্রাম্প যদি নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় ফেরেন, তবে তিনি আগের মতোই যুক্তরাষ্ট্র প্রথম (আমেরিক ফার্স্ট) নীতি গ্রহণ করবেন।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মতো চমৎকার এই অকাস জোট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় এই জোটকে লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত করার কথা বলেন।

ক্যামেরন বলেন, ‘আমি মনে করি, যিনিই প্রেসিডেন্ট হোন না কেন, আমরা এই জোট ও প্রকল্পগুলোকে সর্বোচ্চ উপযুক্ত করে রাখতে পারি, যাতে নতুন প্রেসিডেন্ট এসে দেখেন যে এটা কাজ করছে।’

ক্যামেরন বলেন, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির এই চুক্তি বিশাল প্রকল্পের জন্য, যা নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। এ চুক্তি সামনে এগিয়ে যাবে বলে তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা আছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী বিইএ সিস্টেম অস্ট্রেলিয়ার জন্য সাবমেরিন তৈরির কাজ পেয়েছে। ২০৫০ সাল নাগাদ আটটি সাবমেরিন বুঝে পাওয়ার আশা করছে অস্ট্রেলিয়া।