অপুষ্টিতে মাসে মারা যেতে পারে অতিরিক্ত ১০ হাজার শিশু

ইয়েমেনের একটি হাসপাতালে অপুষ্টিতে ভোগা শিশু। ছবিটি গত ডিসেম্বরে তোলা। তার দুই বছরের ভাইটি মারা গেছে অনাহারে।ছবি: ইউনিসেফ

করোনাভাইরাস (কোভিড–১৯) সংকটজনিত কারণে চলতি বছর প্রতি মাসে অপুষ্টির শিকার হয়ে আরও ১০ হাজার শিশু মারা যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান গত বুধবার এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।

ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক সম্মেলনে বলেন, করোনা মহামারির কারণে তাঁর ধারণা, এ বছর তীব্র অপুষ্টির শিকার হওয়া শিশুর সংখ্যা ১৪ শতাংশ বেশি হতে পারে। অর্থাৎ আরও ৬৭ লাখ মানুষ অপুষ্টিতে আক্রান্ত হতে পারে। এর অধিকাংশের বসবাস সাব–সাহারা আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়।

তেদরোস আধানোম বলেন, ‘আমরা এমন বিশ্বকে মেনে নিতে পারি না, যেখানে ধনীদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের সুযোগ থাকবে, অথচ দরিদ্রদের থাকবে না। ধনীরা বাড়িতে থাকতে পারবেন, কিন্তু দরিদ্ররা কাজ করার জন্য ঘরের বাইরে ছুটবেন।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক আরও বলেন, করোনা মহামারির অর্থনৈতিক বিপর্যয় শেষে সরকারগুলোকে অবশ্যই বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে কাজ করতে হবে; যাতে টেকসই খাদ্যব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদনকারীদের ভর্তুকি দেওয়ার অবসান ঘটে।

আধানোম বলেন, বিভিন্ন দেশ যদি শিশু খাদ্য কর্মসূচি সম্প্রসারণ করে, অস্বাস্থ্যকর খাবারের বাজারজাতকরণ কমিয়ে আনে ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাইয়ে অর্থনৈতিক নীতিমালার প্রয়োগ ঘটায়, তবে লাখো মানুষের জীবন বাঁচতে পারে।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, জীবন ক্ষণস্থায়ী, স্বাস্থ্য অমূল্য সম্পদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার শুধু সম্পদশালীদের নয় বরং সবার অধিকার। করোনা মহামারি অপরিহার্য সেবা, টিকাদান, মাতৃসেবা, শিশুর পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।