অস্ট্রেলিয়ায় বিধিনিষেধবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে
ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গতকাল শনিবার দেশটিতে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদিনই দেশটির মেলবোর্ন ও সিডনি শহরে বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর রয়টার্সের।

শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁদের বেশির ভাগই সিডনি শহরের। টানা দুই মাসের বেশি সময় ধরে বিধিনিষেধ চলছে ৫০ লাখের বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ শহরে। এরপরও করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুস সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের ঘোষণা দেন। এতে প্রদেশের অন্য এলাকাগুলোর মতো বিধিনিষেধের আওতায় পড়ে মেলবোর্ন শহরও। এরপর থেকেই শহরটিতে বিক্ষোভ দেখা দেয়। গতকাল বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়েছে পুলিশ। ভিক্টোরিয়া প্রদেশে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বিক্ষোভকারীকে তারা শনাক্ত করতে পারলে ৩ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হবে।

নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনি শহরে বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে রাস্তায় দাঙ্গা পুলিশ নামতে দেখা গেছে। বিক্ষোভ থামাতে শহরটির কেন্দ্রে যানবাহন যেতে দেয়নি পুলিশ। রাজ্যটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্র্যাড হ্যাজার্ড বলেছেন, নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। এখন শুধু নিজের কথা ভাবলে চলবে না। রাজ্যের বাসিন্দা ও নিজের পরিবারের কথাও মাথায় রাখতে হবে।

বিধিনিষেধ না থাকলেও কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের ব্রিসবেন শহরে হয়েছে বিক্ষোভ। তবে সেখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে গতকাল ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি হামলায় অন্তত সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ২১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় বিধিনিষেধবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বেশির ভাগ মানুষ বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে বলে জুলাইয়ের শেষ দিকে হওয়া একটি জরিপে দেখা গেছে। ওই জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে সমর্থন করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট ৪৩ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৭৮ জনের। এরই মধ্যে দেশটির ১৬ বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ টিকার পূর্ণ ডোজ পেয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।