আমেথিতে রাহুলকে কালো পতাকা প্রদর্শন

রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধী

ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বা দলটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর জন্য উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আমেথি কখনোই সমস্যার নাম ছিল না। তবে গত বুধবার সেখানে পরিস্থিতি পরিবর্তনের সংকেত দেখতে পেলেন রাহুল। নিজ নির্বাচনী এলাকা সফরকালে তাঁকে কালো পতাকা দেখালেন আম আদমি পার্টির (এএপি) স্বেচ্ছাসেবীরা। তাতে যোগ দিল ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (বিকেইউ) ও জনকল্যাণ সমিতিও।
রাহুলকে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির প্রধান ঘোষণা এবং আগামী নির্বাচনে ওই আসনে এএপির নেতা কুমার বিশ্বাস চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার পর সেখানে এটি রাহুলের প্রথম সফর। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাহুল নির্ধারিত সময়ের পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে বিকেল সাড়ে চারটায় আমেথিতে পৌঁছান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। গৌরীগঞ্জে পৌঁছালে তাঁদের কালো পতাকা দেখান এএপি ও বিকেইউর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।
স্থানীয় কংগ্রেসের একজন নেতা বলেন, কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিক্ষোভকারীদের সমস্যাগুলো দেখার আশ্বাস দেন। এরপর তাঁর গাড়িবহর সামনে এগোনোর সুযোগ করে দেওয়া হয়।
কংগ্রেস সরকার উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে ব্যবস্থা নেয়নি—এমন অভিযোগ নাকচ করে রাহুল বলেন, ‘আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমরা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। এর মধ্যে রয়েছে নারী উন্নয়ন থেকে জাতীয় সড়ক নির্মাণসহ অনেক কাজ।’ তবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে ভজকট অবস্থা এবং রাস্তাগুলোর দুর্দশার জন্য তিনি রাজ্য সরকারকে দায়ী করেন। অখিলেশ যাদব সরকার কেন্দ্রীয় তহবিল ব্যবহার করছে না বলে অভিযোগ করেন রাহুল।
উত্তর প্রদেশে পৌঁছানোর পরপরই রাহুল একজন বয়স্ক নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং নিজের গাড়িতে তাঁর পাশে বসার জায়গা করে দেন। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা রাহুলকে ‘শাহজাদা’ হিসেবে তকমা দেওয়ার যে চেষ্টা চালাচ্ছেন, তা রুখতে তিনি এই পদক্ষেপ নেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দুদিনের এই সফরে রাহুল কয়েকটি সভায় বক্তব্য দেবেন। পাশাপাশি তিনি কয়েকটি গ্রামে গিয়ে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি ও গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের প্রভাব মূলায়ন করবেন। তবে এ সফরকে ‘রাজনৈতিক বনভোজন’ আখ্যা দিয়ে এর সমালোচনা করেন কুমার বিশ্বাস। টাইমস অব ইন্ডিয়া।