ইতালিতে তিন দিনের কঠোর লকডাউন

ইতালির মিলানে একটি বিমানবন্দরে যাত্রীদের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। ৩ এপ্রিল, মিলান
ছবি: এএফপি

করোনা মহামারির প্রথম ধাক্কায় ইউরোপের দেশ ইতালির অবস্থা ছিল নাজেহাল। এর মধ্যেই দেশটিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। পরিস্থিতি সামলাতে দেশটিতে তিন দিনের কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে জানানো হয়, আগামীকাল রোববার ‘ইস্টার সানডে’র দিনে জনসমাগম ঠেকাতে ইতালিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। দেশটিতে এখন প্রায় প্রতিদিন ২০ হাজারের মতো নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। লকডাউন চলাকালীন অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লকডাউনে ইতালির গির্জাগুলো খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে লোকজনকে তাঁদের নিজের এলাকার গির্জায় গিয়ে উপাসনা করতে বলা হয়েছে। ইস্টার সানডে ও সাপ্তাহিক ছুটির পর মাসের শেষ পর্যন্ত ‘অরেঞ্জ জোন’ বা ‘রেড জোন’-এ অন্যান্য বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে।

লকডাউনের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী অপ্রয়োজনীয় সব দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাফে ও রেস্তোরাঁগুলো ‘টেকওয়ে’ সেবা চালু রাখার শর্তে খোলা থাকবে।

ইউরোপজুড়ে করোনার প্রকোপ ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টার মধ্যে ইতালি এমন ঘোষণা দিল। বিবিসির তথ্যমতে, ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৩২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতে প্রথম করোনা মহামারি আঘাত হানে। ইতালির উত্তরাঞ্চলে বেশ কিছু শহরে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে লকডাউন জারি করা হয়। সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে পুরো ইতালিতে লকডাউন জারি করে কর্তৃপক্ষ। এরপর গত বছরের জুনে লোকজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ইতালি। কিন্তু ইতালি এখন করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে। চলতি মাসের প্রথম দিন দেশটিতে ২৬ হাজার ৬৩৪ জন করোনা রোগীকে শনাক্ত করা হয়। ওই দিন ৫০১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।