উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীন গণহত্যা সংঘটন করেছে: পম্পেও

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
ছবি: এএফপি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীন গণহত্যা সংঘটন করেছে।

১৯ জানুয়ারি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন পম্পেও। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের একেবারে শেষ সময়ে এমন কথা বললেন তিনি।

উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীন শতাব্দীর ভয়াবহতম অপরাধ সংগঠন করেছে বলে মন্তব্য করেন পম্পেও। এমন অপরাধকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

পম্পেও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নতুন ঘোষণা চীনকে মুসলমানদের প্রতি আচরণ সহজ করাতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসন এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেন পম্পেও। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ উইঘুর ও সংশ্লিষ্ট একাকায় উৎপাদিত পণ্য আমেরিকার বাজারে প্রবেশে নিষিদ্ধের কথা উল্লেখ করেন পম্পেও।

ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে এক বিবৃতিতে মাইক পম্পেও বলেন, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি দেশটির মুসলমানসহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

এমন নির্যাতন বন্ধ করতে চীনের ওপর চাপ বাড়াতে একটি আইন প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে নেওয়া হয়। প্রস্তাবটি এখনো সিনেটের বিবেচনার অপেক্ষায়।

ক্ষমতার শেষ সময়ে এমন ঘোষণার ফলে চীনের ওপর পরবর্তী মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ক্রমাগত চাপ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন পম্পেও।

উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীন গণহত্যা সংগঠন করেছে বলে পম্পেওর পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে যাওয়া অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চীনের হুমকি কোনো ভুয়া বিষয় নয়। তিনি আশা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির হুমকি সম্পর্কে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পম্পেও তাঁর শেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি আমার দেশ নিয়ে অহংকার করি।’

বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি ব্যতিক্রমী জাতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন পম্পেও। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য ও চীন নিয়ে যেসব কাজ করেছে, তার জন্য তিনি অহংকার বোধ করেন।

পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু করেনি, যার জন্য কারও কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মহত্ত্ব ও ব্যতিক্রমের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করতে পারে।