এনআরসির পরও আসামে বিজেপি

আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, তাঁর দল বিজেপিই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখছে
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ভারতের আসামের বিজেপি সরকারের করা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে বিস্তর। তারপরও ভারতের এই রাজ্যের জনগণের রায় পেল ওই দলটিই।

রোববার আসামসহ ভারতের চার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির নির্বাচনের ফল ঘোষণা হচ্ছে। আসামের বিধানসভায় আসন রয়েছে ১২৬টি। সেখানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ৭৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁদের প্রয়োজন ৬৪টি আসন। অপরদিকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস জোট এগিয়ে আছে ৫০টি আসনে।

প্রয়াত তরুণ গগৈয়ের নেতৃত্বে ২০০১ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে আসাম শাসন করেছে কংগ্রেস। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের হটিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন দলটির নেতা সর্বানন্দ সোনোয়াল।

তার আমলেই ২০১৮ সালে আসামে এনআরসি প্রকাশিত হয়। ওই তালিকায় চূড়ান্তভাবে ঠাঁই হয় ৩ কোটি ১১ লাখ মানুষের। আর তালিকা থেকে বাদ পড়েন ১৯ লাখ ৬ হাজার মানুষ। তালিকা প্রকাশের পর এই বিশালসংখ্যক মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এর প্রতিবাদে আসাম ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে।

পুরান এই ঘাঁটি ফিরে পেতে এবার বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে সেখানে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিল কংগ্রেস। দলটির নেতা রাহুল গান্ধী কয়েক দফায় সেখানে গিয়েছেন।

তারপরেও বিজেপির দিকেই ঝুঁকেছেন বাসিন্দারা। এই ভোটের ফল এনআরসির আগামী দিনের গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।