করোনা সংক্রমণে দক্ষিণ কোরিয়ার স্কুল আবার বন্ধ

সিউলের সব স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ করা হয়েছে।ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের সব স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নির্দেশ দিয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গত দুই সপ্তাহে বৃহত্তর সিউলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ কর্মী ও শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হলেও দূরশিক্ষণ কার্যক্রম আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬০–এর কম এমন স্কুল ও বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনা মানবে কি মানবে না, সে বিষয়ে তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিউলের শিক্ষার্থীরা এখন থেকে অনলাইনে ক্লাস করবে। তবে ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া হাই স্কুলের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে।

উল্লেখ্য, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমতে থাকায় চলতি বছরের ২০ মে থেকে ১ জুনের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশির ভাগ স্কুলই খুলে দেওয়া হয়েছিল।

চিকিৎসকদের কাজে ফিরতের বলেছেন কোরিয়া সরকার।
ছবি: সংগৃহীত

জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, দক্ষিণ কোরিয়ার ১৭ হাজার ৯৪৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্য মৃত্যু হয়েছে ৩১০ জনের।

গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে ২৮০ জন কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ নিয়ে গত ১২ দিনে দেশটিতে দিনে এক শর বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। ১২ দিন আগে এ সংখ্যা ছিল ৩০–এর নিচে।

এক সপ্তাহে আগে সিউলের এক র‌্যালিতে জনসমাগম হওয়ায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সিউল কর্তৃপক্ষ সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে বের হতে বলেছেন। দেশটির সরকার বলছে, যদি এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তবে সামাজিক দূরত্বসহ করোনা রোধে অন্য সব নির্দেশনা জনগণকে মানাতে কঠোর হবে তারা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় গির্জা, নাইট ক্লাব ও বারগুলো বন্ধ আছে।

এদিকে তিনদিনের আন্দোলনে থাকা চিকিৎসকদের আজ বুধবার কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। কয়েকটি দাবিতে চিকিৎসকেরা ধর্মঘট করছেন।