করোনায় স্থগিত কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা

২০২০ সালের জানুয়ারিতে আয়োজিত কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের আদলে তৈরি করা হয়েছিল এই প্যাভিলিয়ন
ফাইল ছবি

করোনার কবলে পড়ে এবার স্থগিত হয়ে গেল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। মেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিসার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের পক্ষ থেকে আজ রোববার এ কথা জানানো হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং বইমেলা আয়োজনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে পরবর্তী সময়ে এই মেলার আয়োজন করা হবে।

কলকাতা বইমেলার পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। ২০২১ সালে এই মেলা ৪৫ বছরে পা দেবে। মেলাটি শুরু হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৮ জানুয়ারি। পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ঘিরে এবারের বইমেলার ‘থিম কান্ট্রি’ করা হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে মেলা আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিসার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড আজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, আপাতত এই বইমেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং বইমেলা করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ২০২১ সালের যেকোনো সময় এই মেলার আয়োজন করা হবে।

এ ব্যাপারে পাবলিসার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক শুধাংশু শেখর দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা করোনার কারণে এই বইমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। তাই আমাদের নির্বাহী কমিটির সভায় বইমেলা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে মেলা আয়োজনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে জেনারেল কমিটির সভা ডেকে আগামী বছরের যেকোনো সময় মেলার আয়োজন করতে পারি।’

এর আগের বইমেলাটি উদ্বোধন করা হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি। কলকাতার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে আয়োজিত ওই মেলার ‘থিম কান্ট্রি’ ছিল রাশিয়া। সে সময় বাংলাদেশসহ ২০টি দেশ মেলায় অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন তৈরি হয়েছিল শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের আদলে।

শুধাংশু শেখর দে বলেন, ‘করোনা এখনো আমাদের রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ) তথা সারা দেশ থেকে বিদায় নেয়নি। তা ছাড়া এখনো অনেক দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল পাবলিসার্স অ্যাসোসিয়েশনও বইমেলা করার অনুমতি দেয়নি। তাদের নির্দেশে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন ও প্যারিসের বইমেলার সময়ও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এর আগের বইমেলাটি উদ্বোধন করা হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি। কলকাতার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে আয়োজিত ওই মেলার ‘থিম কান্ট্রি’ ছিল রাশিয়া। সে সময় বাংলাদেশসহ ২০টি দেশ মেলায় অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন তৈরি হয়েছিল শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের আদলে। এই প্যাভিলিয়নে ঠাঁই পেয়েছিল বাংলাদেশের ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা। আর কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ৬০০ প্রকাশনা সংস্থা যোগ দিয়েছিল। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছিল ২০০টি লিটল ম্যাগ প্রকাশনা সংস্থা।