ক্যামেরার সামনে ছবি রেখে মানুষ উধাও

করোনাভাইরাসের মহামারি বদলে দিয়েছে মানুষের কাজের ধরন। পরিবর্তন হয়েছে তাদের অভ্যাসেরও। করোনার সংক্রমণ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে মানুষ ঝুঁকে পড়েছে ভার্চ্যুয়াল বিভিন্ন আয়োজনে। সেখানে বৈঠক, সভা–সেমিনার, এমনকি আড্ডাও চলছে। মেক্সিকোতে এ রকম একটি অনলাইন সভায় ঘটেছে বিচিত্র ঘটনা। দেশটির একজন রাজনীতিক ভার্চ্যুয়াল সভায় নিজের পরিবর্তে তাঁর বড় একটি ছবি রেখে দেন। এর মাধ্যমে তিনি দেখাতে চেয়েছেন, তিনি যুক্ত আছেন। তবে তাঁর এই জোচ্চুরি ধরাও পড়েছে। এ জন্য হয়তো তাঁকে শাস্তিও ভোগ করতে হবে।

মেক্সিকোর পত্রিকা মেক্সিকো ডেইলি নিউজ–এর বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, যিনি ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাঁর নাম ভালেন্তিনা বাত্রেস গোয়াদারামা। তিনি রাজধানী মেক্সিকো সিটির কংগ্রেস সদস্য। তাঁর দলের নাম ন্যাশনাল রিজেনারেশন মুভমেন্ট বা মোরেনা পার্টি। গত শুক্রবার ভার্চ্যুয়াল কংগ্রেস অধিবেশনে যোগ দেন কংগ্রেস সদস্যরা। এতে গোয়াদারামাও অংশ নেন। অধিবেশন চলার মাঝপথে ক্যামেরার সামনে নিজের বড় একটি ছবি রেখে উঠে পড়েন তিনি।

মেক্সিকোর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, জুম প্রযুক্তির মাধ্যমে আয়োজিত ওই সভা রেকর্ড করা হয়েছিল। ডেমোক্রেটিক রেভল্যুশন পার্টির উপপ্রধান জর্জে গাভিনো ওই সভার একটি ভিডিওর ফুটেজ পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে। সেখানে ব্যঙ্গাত্মক ক্যাপশনও দেন তিনি। লেখেন, ‘আমি মনে করছিলাম, আপনি আমার বক্তব্য বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। কিন্তু পরে দেখলাম, আপনার মনোযোগী চেহারাটা একটি ছবি মাত্র।’

গোয়াদারামার এই কাণ্ডকারখানার ভিডিও হাজার হাজার মানুষ দেখেছে ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের বেশির ভাগই ওই নারী কংগ্রেস সদস্যকে তীব্র সমালোচনা করেছে।

তবে গোয়াদারামা কংগ্রেসের যেকোনো ধরনের প্রটোকল ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির বিষয়ে জানাবোঝা কম থাকায় এই ভুল হয়েছে। পরে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমি সেটা বন্ধ করতে সক্ষম হই।’

ভার্চ্যুয়াল সভায় এই রকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত মে মাসে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সঙ্গে একটি ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে একজন ব্যবসায়ীকে নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়। ঘটনাটি অনলাইন জগতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।