ক্রমেই বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের কর্মকান্ডের মূল্যায়ন শুরু হয়ে গেছে। কেমন করলেন বাইডেন। কেউ কেউ বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১০০ দিনে বাইডেন তাঁর দেশকে কিছুটা হলেও বদলে দিয়েছেন। কারও কারও মতে, বাইডেনের সাফল্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। রুজভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রকে একটি নাগরিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের সময় জো বাইডেনের পাশে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের প্রথম ১০০ দিন পূর্ণ হচ্ছে এ সপ্তাহে। এই উদ্‌যাপন সামনে রেখে আজ বুধবার তিনি কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ক্ষমতা গ্রহণের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতাকালে দেশটির যে অনিষ্ট করেছেন, তা তিনি শুধু ঠেকাবেন তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও ‘স্বাভাবিক’ একটি দেশে রূপান্তর করবেন। সে কাজে তিনি কতটা সফল হয়েছেন, এই ভাষণে তার একটি হিসাব-নিকাশ তিনি উপস্থিত করবেন বলে ভাবা হচ্ছে।


এই তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা হলেও বদলে দিয়েছেন বাইডেন। এই পরিবর্তনের কোনো কোনোটি ভাসা-ভাসা বা উপরিগত, কিন্তু সম্ভাবনার অর্থে তা সুদূরপ্রসারী। কারও কারও মতে, বাইডেনের সাফল্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। রুজভেল্ট তাঁর ‘নিউ ডিল’ কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি নাগরিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিলেন। বাইডেন সে কাজকে পূর্ণতা দিতে সক্ষম হবেন। তবে তাঁর পথে রুজভেল্টের তুলনায় অনেক বেশি কাঁটা বিছানো।
যুক্তরাষ্ট্রের বদলে যাওয়ার তিনটি উদাহরণ


এক, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছিলেন সব বহিরাগতকে ঢালাওভাবে আক্রমণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের চারদিকে দেয়াল তুলে তিনি অবৈধ বহিরাগতদের ঠেকাতে চেয়েছিলেন। বাইডেন তাঁর প্রথম ১০০ দিনে ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তন করে এ দেশের প্রায় সোয়া কোটি অবৈধ বহিরাগতকে মার্কিন নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। এমনকি তিনি বহিরাগতদের ‘অবৈধ’ হিসেবে বর্ণনা বর্জন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন থেকে এঁদের পরিচয় হবে ‘আন ডকুমেন্টেড নন-সিটিজেন’ বা নাগরিক নয় এমন নথিবিহীন ব্যক্তি। বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসনসংক্রান্ত নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘বহিরাগতদের ব্যাপারে আমরা বিশ্বের মানুষের সামনে সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ তুলে ধরতে চাই।’  

দুই, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে মার্কিন অর্থনীতির আবক্র পথ বা ট্র্যাজেকটরি একমুখী থেকেছে। সে বরাবর অর্থবান ও সুবিধাভোগীদের জন্য বর্ধিত সুযোগ সৃষ্টি করে গেছে। এর ফলে ধনী আরও ধনী হয়েছে, ধনবৈষম্য আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বাইডেন সে যাত্রাপথ বদলাতে চান। তিনি ইতিমধ্যে যে প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, তার প্রধান লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্র্য সংকোচন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১০ জনের ১ জন অভাবী ও ক্ষুধাগ্রস্ত। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত সোয়া কোটি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। ক্ষুধা সবচেয়ে কঠোরভাবে আক্রমণ করে শিশুদের। বাইডেনের কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ দরিদ্র শিশুকে ক্ষুধামুক্ত করতে সক্ষম হবে। বাইডেন বৈষম্য রোধে যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা রোগ নিরাময়ে মলম দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে তার বর্ণভিত্তিক বৈষম্য থেকে উদ্ধারের একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ। অর্থনীতিবিদ জমস জিলিয়াকের কথায়, যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, তা এককথায় ‘প্রগাঢ়’।

ট্রাম্প করপোরেট কর হ্রাস করেছিলেন এবং তাদের জন্য বিপুল কর রেয়াতির ব্যবস্থা করেছিলেন। বাইডেন এই কর বাড়িয়ে দিতে চান। তিনি আশা করছেন, মধ্যবিত্তের ওপর নতুন কোনো কর না চাপিয়ে শুধু অতিধনী ও বৃহৎ করপোরেশনের ওপর অতিরিক্ত করারোপের মাধ্যমে আগামী ১৫ বছরে মোট আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার সংগ্রহ সম্ভব


তিন, ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির কেন্দ্রে ছিল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি, যা বাস্তবে ‘শ্বেত জাতীয়তাবাদে’ রূপান্তরিত হয়। তিনি বিশ্বনেতাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, বহুপাক্ষিকতাবাদের ভাবনা বাদ দিয়ে যার যার নিজের স্বার্থের কথা ভাবাই হবে প্রকৃত দেশপ্রেম। বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই এই নীতি বদলে যুক্তরাষ্ট্রকে বহুপাক্ষিকতাবাদের পথে ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে এসেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ নবায়ন করেছেন এবং ইরানের প্রতি যুদ্ধংদেহী নীতির পরিবর্তে ‘সংলাপের’ পথ অনুসরণ করছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে ফিরে এসেছে, এর চেয়ে ভালো খবর হতে পারে না।

ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

‘বামপন্থী’ বাইডেন?

ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী প্রচারণায় বাইডেন পরিচিত ছিলেন সতর্ক মধ্যপন্থী হিসেবে। সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স অথবা এলিজাবেথ ওয়ারেন, যাঁরা দলের প্রগতিশীল অংশের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য ছিলেন, তাঁরা বাইডেনকে রীতিমতো একজন প্রতিক্রিয়াশীল দক্ষিণপন্থী রাজনীতিক হিসেবেই চিহ্নিত করেছিলেন। এমনকি সিনেটর কমলা হ্যারিস, এখন তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট, তিনি পর্যন্ত বর্ণ-সম্পর্ক প্রশ্নে বাইডেনের অবস্থানকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন।


মধ্যপন্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ী বাইডেন এখন খোলামেলাভাবেই প্রগতিশীল রাজনীতি অনুসরণ করছেন। অভিবাসন, দারিদ্র্য বিমোচন, অথবা অবকাঠামো নির্মাণ, বাইডেনের অনুসৃত প্রতিটি দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম দলের বামপন্থী অংশকে প্রীত করেছে। ভাবা হয়েছিল, তাঁর মধ্যপন্থী অবস্থানের কারণে বাইডেন নিজ দলের প্রগতিশীল অংশের তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হবেন। বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। দলের সবচেয়ে বামপন্থী নেতা, সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এখন বাইডেনের সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ সমর্থকদের একজন। প্রণোদনা অথবা অবকাঠামো সংস্কার প্রশ্নে বাইডেন যে ‘অতি উচ্চাভিলাষী’ কর্মসূচি প্রস্তাব করেছেন, তা মূলত স্যান্ডার্সের পরামর্শেই। খ্যাতনামা ভাষ্যকার বার্নাড গোল্ডবার্গ মন্তব্য করেছেন, স্যান্ডার্স নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় পরাজিত হলেও বাইডেন আসলে তাঁর (অর্থাৎ স্যান্ডার্সের) প্রস্তাবিত কর্মসূচিই বাস্তবায়ন করছেন।

বাইডেন শুধু যে স্যান্ডার্সের ঘণ্টাপ্রতি ১৫ ডলারের ন্যূনতম বেতনের দাবি সমর্থন করেন তা-ই নয়, শ্রমিক ইউনিয়নের বর্ধিত ভূমিকার প্রতিও সমর্থন দিয়েছেন। সম্প্রতি আলাবামায় আমাজনের একটি পণ্যাগারে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলে বাইডেন এক ভিডিও বার্তায় সে উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান। সাম্প্রতিক ইতিহাসে শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতি এমন সরাসরি সমর্থনের কোনো উদাহরণ নেই।

বাইডেনের জন্য স্বস্তির কথা, এখন পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। ১০০ দিনের মাথায় গৃহীত সর্বশেষ জনমত জরিপে ৫৩ শতাংশ মার্কিন বাইডেনের নেতৃত্বে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হয়েছে এবং অর্থনীতি দ্রুত বেগবান হচ্ছে, সেটিও তাঁকে সুবিধাজনক অবস্থায় এনেছে।


বাইডেনের বামঘেঁষা নীতির আরেক উদাহরণ অতিধনী ও করপোরেশনের ওপর অতিরিক্ত করারোপের প্রস্তাব। ট্রাম্প করপোরেট কর হ্রাস করেছিলেন এবং তাদের জন্য বিপুল কর রেয়াতির ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশ ধার্য করেছিলেন। বাইডেন এই কর বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করতে চান। তিনি আশা করছেন, মধ্যবিত্তের ওপর নতুন কোনো কর না চাপিয়ে শুধু অতিধনী ও বৃহৎ করপোরেশনের ওপর অতিরিক্ত করারোপের মাধ্যমে আগামী ১৫ বছরে মোট আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার সংগ্রহ সম্ভব হবে। অবকাঠামো নির্মাণ ও জলবায়ু সংকট সমাধানের যে উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি তিনি প্রস্তাব করেছেন, তার কেন্দ্রে রয়েছে আয়কর কাঠামো পরিবর্তনের এই প্রস্তাব।


বাইডেনের সবচেয়ে ‘র‌্যাডিকাল’ অবস্থান সম্ভবত বর্ণবৈষম্য প্রশ্নে। নির্বাচনের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণ বিভাজন দূর করবেন। কাজটা সহজ নয়, বর্ণ বিভাজন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির কেন্দ্রে। বর্ণ বিভেদ রা রেসিজমের চরিত্র যে প্রাতিষ্ঠানিক, সে কথা স্বীকারের মাধ্যমে বাইডেন পরিবর্তনের প্রথম বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু শুধু কথায় নয়, কাজটা সম্পন্ন করতে দরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তন। দারিদ্র্য দূর করতে হবে, অশ্বেতকায়দের জন্য সব ক্ষেত্রে অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে—এই ধারণা বাইডেনের অর্থনৈতিক কর্মসূচির কেন্দ্রে। অশ্বেতকায়দের প্রতি পুলিশি শক্তি ব্যবহার ঠেকাতে কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা যে আইন প্রস্তাব করেছেন, বাইডেন তার প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

সামনে বিপদ


প্রণোদনা থেকে অবকাঠামো বা পুলিশি সংস্কার, প্রায় প্রতিটি প্রশ্নে বাইডেনবিরোধী রিপাবলিকানদের অসহযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাঁদের চোখে বাইডেন এখন দলের বামপন্থীদের হাতে পুরোপুরি জিম্মি। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় না থাকলেও এই দলের ওপর তাঁর প্রভাব এখনো প্রবল। বাইডেনকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বৈধভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেননি, নেবেনও না। ট্রাম্প ও রিপাবলিকান নেতৃত্ব আশা করছে, ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাঁরা কংগ্রেসের উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবেন। সে লক্ষ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণ থেকে অবকাঠামো সংস্কার, কোনো প্রশ্নেই তাঁরা বাইডেনের পাশে নেই।


শুধু রিপাবলিকান নয়, নিজ দলের মধ্যপন্থীদের সামলাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে বাইডেনকে। সিনেটে ও কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের নামমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এই অবস্থায় নিজ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দলের রক্ষণশীল অংশকে উপেক্ষা করা অসম্ভব। মাত্র একজন সিনেটর যেমন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার জো মানশিন—বাগড়া দিলে নতুন কোনো প্রস্তাব নিয়ে এগোনো তাঁর পক্ষে অসম্ভব হবে। এসব মধ্যপন্থীকে বাগে আনতে তাঁকে সমঝোতার পথ ধরতে হচ্ছে।

সর্বশেষ জনমত জরিপে ৫৩ শতাংশ মার্কিন বাইডেনের নেতৃত্বে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
ফাইল ছবি: রয়টার্স


বাইডেনের জন্য স্বস্তির কথা, এখন পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। ১০০ দিনের মাথায় গৃহীত সর্বশেষ জনমত জরিপে ৫৩ শতাংশ মার্কিন বাইডেনের নেতৃত্বে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হয়েছে এবং অর্থনীতি দ্রুত বেগবান হচ্ছে, সেটিও তাঁকে সুবিধাজনক অবস্থায় এনেছে। প্রণোদনার সুফল শুধু ডেমোক্র্যাট নয়, রিপাবলিকানরাও পাচ্ছে, ফলে তাদের একটি অংশ বাইডেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।


২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের উভয় কক্ষ হারাতে পারেন—এ কথা বাইডেন জানেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনে শাসক দলের পরাজয় যুক্তরাষ্ট্রে এখন কার্যত একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। সে কথা জানেন বলেই বাইডেন যত দ্রুত সম্ভব এগোতে চান। প্রয়োজন হলে কোনো রিপাবলিকান সমর্থন ছাড়াই তাঁকে এ কাজ করতে হবে। বার্নি স্যান্ডার্স পরামর্শ দিয়েছেন, বড় কিছু করুন। কৃষ্ণকায় নেতা জেমস ক্লেইবার্ন পরামর্শ দিয়েছেন, যা করার দ্রুত করুন। সে পথেই এগোচ্ছেন বাইডেন।