চার বছরের শিশু পেল ডাইনোসরের পায়ের ছাপ

সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে গিয়ে ডাইনোসরের এই পায়ের ছাপ পেয়েছ চার বছর বয়সি এক শিশু
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

৪ বছর বয়সী ছোট্ট মেয়েটি আপনমনে হাঁটছিল সমুদ্রসৈকতে। হাঁটতে হাঁটতে হুট করেই তার চোখে পড়ে এক বিশাল পায়ের ছাপ। এরপর তা নিয়ে শুরু হয় হইচই। এক পর্যায়ে গবেষকেরা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে জানান, এই পায়ের ছাপ প্রায় ২২ কোটি বছরের পুরনো হতে পারে। আর তা হলো এক ডাইনোসরের।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাউথ ওয়েলসের এক সমুদ্রসৈকতে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে। চার বছর বয়সী শিশুটির নাম হলো লিলি ওয়াইল্ডার। ওয়েলশ বিচে হাঁটতে গিয়ে সে ডাইনোসরের এই পায়ের ছাপ খুঁজে পায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পায়ের ছাপ থেকে ডাইনোসরের কীভাবে হাঁটত—সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যেতে পারে।

লিলির মা স্যালি ওয়াইল্ডার এনবিসি নিউজকে গত শনিবার জানিয়েছেন, ‘এটি একটি নিচু পাথুরে এলাকা ছিল। লিলির কাঁধের সমান উচ্চতা ছিল পাথরটির। সে পাথরটি খুঁজে পেয়েই তার বাবাকে ডেকে দেখায়। রিচার্ড (লিলির বাবা) এর একটি ছবি তুলে এনে আমাকে দেখিয়েছিল।’

লিলি স্থানীয় বেনড্রিকস বে নামক সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে গিয়ে ডাইনোসরের এই পায়ের ছাপ খুঁজে পায়। ডাইনোসরের পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়ার জন্য এই সৈকত বিখ্যাত। তবে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন, তা সত্ত্বেও লিলির আবিষ্কার আলাদা বৈশিষ্ট্য বহন করে।

ওয়েলসের জীবাশ্মবিজ্ঞান সংক্রান্ত জাতীয় যাদুঘরের কিউরেটর সিনডি হাওয়েলস বলেছেন, এই সমুদ্রসৈকতে পাওয়া জীবাশ্মগুলোর মধ্যে এটির মানই সবচেয়ে ভালো।
ডাইনোসরের যে পায়ের ছাপটি পাওয়া গেছে, তা দৈর্ঘ্যে প্রায় ১০ সেন্টিমিটার।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, ডাইনোসরটি আকারে প্রায় ৭৫ সেন্টিমিটার লম্বা ছিল। তবে ডাইনোসরটি কোন প্রজাতির ছিল, সেটি জানা সম্ভব হয়নি।

চলতি সপ্তাহেই পায়ের ছাপের জীবাশ্মটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করেছে এবং কার্ডিফের জাতীয় যাদুঘরে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই জীবাশ্মটি সংরক্ষণ করা হবে। ওয়েলসের জাতীয় যাদুঘর এক বিবৃতিতে বলেছে, এই জীবাশ্মটি সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানীরা ডাইনোসরটির প্রকৃত কাঠামো সম্পর্কে গবেষণা করতে পারবে এবং আরও অনেক তথ্য উদঘাটন করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।