চীনকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই ভারত সফরের পরিকল্পনা সুগার

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা
ফাইল ছবি: এএফপি

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা চলতি মাসের শেষে ভারত ও ফিলিপাইন সফরের পরিকল্পনা করেছেন। চীনকে ঘিরে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার আলোকে তাঁর এই সফরকে দেশ দুটির সঙ্গে জাপানের মৈত্রীর বন্ধন আরও জোরদার করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক চীনের সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের উপস্থিতি ফিলিপাইনকে অস্বস্তিতে রেখেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

পর্যবেক্ষকেরা ধারণা করছেন, কোয়াড নামে পরিচিতি পাওয়া চার দেশের জোটকে আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়তো এখন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের এই জোট সম্মিলিতভাবে চীনকে সামাল দিতে চাইছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। চার দেশের কেউই অবশ্য এখন পর্যন্ত এই গুঞ্জনের বিপরীতে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দেশ চারটি বলছে, তাদের এই জোট কারও বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো নয়, বরং ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে অবাধ ও মুক্ত সমুদ্র চলাচল নিশ্চিত করতে চাইছে।

ভারত ও ফিলিপাইন সফরের আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুগা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আগামী সপ্তাহে দেশটিতে সফরে যাবেন।

১৬ এপ্রিল বাইডেনের সঙ্গে সুগার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠক হবে তাঁদের প্রথম বৈঠক। শুধু তা-ই নয়, গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বাইডেন ১৬ এপ্রিলই প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে কোনো বিদেশি নেতাকে স্বাগত জানাবেন।

১৬ এপ্রিল বাইডেনের সঙ্গে সুগার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠক হবে তাঁদের প্রথম বৈঠক। শুধু তা-ই নয়, গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বাইডেন ১৬ এপ্রিলই প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে কোনো বিদেশি নেতাকে স্বাগত জানাবেন। ওই বৈঠকে কোয়াডকে আরও বেশি কার্যকর করে তোলার উপায় নিয়ে আলোচনা ছাড়াও চীনকে সামাল দেওয়ার বিষয়টিও অগ্রাধিকার পাবে। তবে জাপান সরকার বলছে, উত্তেজনা প্রশমনের গুরুত্ব জাপান বৈঠকে তুলে ধরবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ নেই। এর মধ্যেই পূর্ব এশিয়া হঠাৎ আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। চীন দাবি করছে, হংকং ও জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলো তুলেছে, তাতে এশিয়ার দেশগুলোকে শামিল করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা কিছু পদক্ষেপ নিলেও জাপান এখনো নীরব। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাইডেন-সুগা বৈঠকে এই ইস্যুতে চাপে পড়তে পারেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। এমনকি ভারত সফরের সময়ও হয়তো বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সামনে চলে আসতে পারে।