ছাত্রীকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা, ব্যর্থ হয়ে গুলি

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদের বল্লভগড়ে গতকাল সোমবার এক কলেজছাত্রীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই ছাত্রীর নাম নিকিতা তমার (২১)। তিনি বাণিজ্যের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তৌসিফকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। হামলায় নিহত নিকিতা একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। তাঁর কলেজের বাইরেই তিনি হামলার শিকার হন। একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলাকারী তৌসিফ ও তাঁর বন্ধু রেহান আগে থেকেই ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করছিলেন। তৌসিফ প্রথমে নিকিতাকে টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন।

হামলার ঘটনাটি একটি নিরাপত্তা ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, ঘটনার সময় নিকিতার এক বান্ধবীও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। হত্যার শিকার হওয়ার আগে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন নিকিতা। শেষে খুব কাছ থেকে নিকিতার শরীরে গুলি করেন তৌসিফ। ঘটনার পরপর তৌসিফ ও রেহান গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় নিকিতাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

ফরিদাবাদের পুলিশ কর্মকর্তা ওপি সিং এনডিটিভিকে জানান, তৌসিফ ও নিকিতা একে অপরের পূর্বপরিচিত। ২০১৮ সালে তৌসিফ নিকিতাকে অপহরণ করেছিলেন বলেও জানান ওপি সিং। সে সময় নিকিতার বাবা তৌসিফের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে নিকিতার বাবা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

এনডিটিভিকে নিকিতার বাবা বলেন, ‘এর আগে ২০১৮ সালে তৌসিফের বিরুদ্ধে আমার মেয়েকে হয়রানি করার অভিযোগ দিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে অভিযোগ তুলে নিয়েছিলাম। এখন তাঁরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে তাঁর কলেজে যাচ্ছিল। সে (তৌসিফ) জোর করে তাকে (নিকিতা) গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু আমার মেয়ে ওঠেনি। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর সে তাকে গুলি করে।’

মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে নিকিতার মা বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চাই। তাদেরও একইভাবে গুলি করা উচিত, যেভাবে তারা আমার মেয়েকে গুলি করেছে।’

ভারতের জাতীয় নারী কমিশন ইন্টারনেটে পাওয়া ভিডিও চিত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। তারা অন্য অভিযুক্তকে ধরতে হরিয়ানা পুলিশ প্রধানের কাছে চিঠি দিয়েছে।