জলবায়ু পরিবর্তন আয় বৈষম্য গভীর করছে

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমস্যায় পড়তে পারে উন্নয়নশীল দেশগুলো
ছবি : রয়টার্স

বিশ্বের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন শীর্ষ জলবায়ু অর্থনীতিবিদ মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে আয়বৈষম্য আরও গভীর করে তুলবে। তাই অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ পৃথিবীর উষ্ণায়ন নির্গমন কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর পলিসি ইনটিগ্রিটি প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে অর্থনৈতিকভাবে চাপ ও উচ্চ দারিদ্র্যের হারযুক্ত দেশগুলোর জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব আরও কঠিন অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার ওই সমীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থনীতি নিয়ে এটাই সর্ববৃহৎ বৈশ্বিক বিশেষজ্ঞ সমীক্ষা। এতে ৭৩০ জন বিশেষজ্ঞের মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশই কার্বন নির্গমন কমাতে ‘তাত্ক্ষণিক এবং কঠোর পদক্ষেপ’ প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন।

অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, সরকারগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য ব্যয়ের বিষয়টিকে অবমূল্যায়ন করতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর পলিসি ইনটিগ্রিটির কৌশলগত পরিচালক ডেরেক সিলভান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে চূড়ান্ত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্ভাব্য ক্ষতি দাঁড়াবে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদি বর্তমান উষ্ণতার ধারা চলতে থাকে, তবে ২০৭৫ সাল নাগাদ এই ক্ষতি গিয়ে দাঁড়াবে প্রতিবছর ৩০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এর সবচেয়ে বড় প্রভাব গিয়ে পড়বে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। বিশেষ করে যেগুলো কৃষিনির্ভর দেশ সেখানে। গবেষক সিলভানের মতে, কৃষি নির্ভরশীলতা অত্যধিক গরমের ঝুঁকিতে পড়বে।

সমীক্ষায় ৭০ শতাংশ অর্থনীতিবিদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের মধ্যে বৈষম্য বাড়বে। ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে দূরত্ব বাড়বে।

গবেষকেরা বলছেন, কার্বন নির্গমন কমানোর খরচও দ্রুত কমছে। সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এ ধরনের খরচ সাশ্রয়ী পদ্ধতির ব্যবহার বাড়বে বলে আশা করছেন তাঁরা।