ট্রাম্পের পছন্দের ব্যক্তিই যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী

জেরেমি হান্টকে টপকে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স
জেরেমি হান্টকে টপকে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন বরিস জনসন। এতে করে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীও হতে চলেছেন তিনি। আগামীকাল বুধবার থেরেসা মে সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন জনসন।

বরিস জনসনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। হান্টকে বড় ব্যবধানেই পরাজিত করেছেন জনসন। ৯২ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন জনসন। হান্ট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৬ ভোট।

রয়টার্স জানিয়েছে, আগামীকাল বাকিংহাম প্যালেসে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়াবেন আগের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এরপরই বরিস জনসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন রানি এলিজাবেথ। দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার বক্তব্য দেবেন জনসন।

কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন লন্ডনের সাবেক মেয়র ও যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি পদত্যাগ করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন জেরেমি হান্ট।

২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পক্ষে রায় দেওয়ার পর থেকে ব্রেক্সিটের পক্ষে জোর প্রচারণা চালিয়েছিলেন বরিস জনসন। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পূর্বসূরি থেরেসা মের মতোই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন ৫৫ বছর বয়সী জনসন। প্রচারণা চালানোর পুরো সময় জুড়েই চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পক্ষে সরব ছিলেন জনসন।

এর আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আমন্ত্রণে যুক্তরাজ্য সফরে যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির সংবাদপত্র দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের জন্য বরিস জনসনই হবেন ‘চমৎকার’ ব্যক্তিত্ব। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তিনি ভালো করবেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন ভালো করবেন। আমার ধারণা, তিনি (বরিস জনসন) হবেন অসাধারণ।’

তবে গত বছর বোরকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বরিস জনসন। বোরকা পরা মুসলিম নারীদের ‘চিঠি ফেলার বাক্সের মতো লাগে’ এবং ওই নারীদের ‘ব্যাংক ডাকাতের’ সঙ্গে তুলনা করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন তিনি। ডেইলি টেলিগ্রাফের এক নিবন্ধে বরিস জনসন আরও বলেছিলেন, বোরকা নিষিদ্ধ হওয়া উচিত নয়, কিন্তু এটাকে দেখতে ‘হাস্যকর’ লাগে।