ডায়ানার সাজ

লাজুক চেহারার ডায়ানার যখন রাজপরিবারে বিয়ে হয়, খুব একটা স্টাইলিশ ছিলেন না। বাগদানের পর প্রথম দিন চার্লসের সঙ্গে গণ-অনুষ্ঠানে (পাবলিক ইভেন্ট) কালো রঙের যে গাউনটি পরে এসেছিলেন, সেটা নিয়ে পরে বেশ বিব্রত হতে হয়েছিল তাঁকে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন পরিবর্তন আনতে হবে সাজ-পোশাকে। ধীরে ধীরে ফ্যাশনের সঙ্গে তিনি নিজেকে গেঁথে ফেলেন। যেটাই পরতেন, মানিয়ে যেত সাবলীলভাবে। মূলত তিনি ব্রিটেনের ডিজাইনারদের কাজকেই তুলে ধরতেন। ডেভিড ও এলিজাবেথ ইম্যানুয়েলস, ব্রুস ওল্ডফিল্ড, লরা অ্যাশলে, ক্যাথরিন ওয়াকার ও জনড্রা রোডসের ডিজাইন করা পোশাক পরতেন বেশি।

বিয়ের পর পোশাকে ফ্রিলস, বো-টাইয়ের ব্যবহার শুরু করেন। নিয়মনীতির ভেতর থেকেই গাউনের ক্ষেত্রে অফশোল্ডার, ওয়ান শোল্ডার বেছে নিয়েছেন বেশ কয়েকবার। সিকুইন করা গাউন, কাঁধে প্যাড, বড় বড় ফ্রিল, কলার পছন্দ করতেন।

নিজেদের বাগদান ঘোষণার সময় ডায়ানা পরেছিলেন নীল রঙের পোশাক। কেটও নিজের বাগদান ঘোষণার দিন পরেছিলেন একই রঙের ইসা ব্র্যান্ডের র‍্যাপ ড্রেস।
নিজেদের বাগদান ঘোষণার সময় ডায়ানা পরেছিলেন নীল রঙের পোশাক। কেটও নিজের বাগদান ঘোষণার দিন পরেছিলেন একই রঙের ইসা ব্র্যান্ডের র‍্যাপ ড্রেস।

প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে তালাক হয়ে যাওয়ার পর গলাবন্ধ পোশাক থেকে বের হয়ে এলেন ডায়ানা। অফশোল্ডার, স্লিভলেস, স্প্যাগেটি স্ট্র্যাপস দেওয়া পোশাক পরতে শুরু করলেন। পোশাকের দৈর্ঘ্যও কমে এসেছিল। যেন রাজপরিবারের বন্দীজীবন থেকে মুক্ত হওয়ার আনন্দও পোশাকের মাধ্যমে প্রকাশ পেল। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে হ্যাট পরতেন নানা নকশার। বিয়ে ভাঙার পর পোশাকে ফ্রিলের ব্যবহার কমে এসেছিল। কিছুটা আঁটসাঁট, লম্বায় ছোট পোশাকই ডায়ানার নতুন স্টাইলে জায়গা করে নিয়েছিল। মুক্তার মালা পরতেন। ড্রেস, গাউন, ম্যাক্সি ড্রেস, স্কার্ট পরার বাইরেও তিনি প্যান্ট শার্ট, টি-শার্ট পরতেন কখনো কখনো।

তিনি ক্লাচ ব্যবহার করতেন বেশি। ডায়ানার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কেনসিনটন প্রাসাদে আয়োজন করা হয়েছিল ‘ডায়ানা: হার ফ্যাশন স্টোরি’ প্রদর্শনীর। ডায়ানার ব্যবহৃত ২৫টি আলোচিত পোশাক দেখানো হয়েছিল এই প্রদর্শনীতে।