তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের ধাক্কায় ঘুরে গেল বিজেপি

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের ধাক্কায় ঘুরে গেল রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি বলছে, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন বাংলার নেতারাই। তৃণমূলের সমালোচনার মুখে পাঁচ অবাঙালি কেন্দ্রীয় নেতার পাশাপাশি বিজেপি নতুন করে পাঁচ বাঙালি বিজেপি নেতাকে নির্বাচনের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে।

বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নতুন পাঁচ বাঙালি নেতা হলেন সায়ন্তন বসু (উত্তরবঙ্গ), বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী (নবদ্বীপ), রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় (রাঢ়বঙ্গ), জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাত (মেদিনীপুর) ও সঞ্জয় সিংহ (কলকাতা)। তবে রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয় বর্গীয়।

আগামী এপ্রিল থেকে মে মাসে এই রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণের কথা। সেই নির্বাচন সামনে রেখে এখন উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে রাজ্য–রাজনীতি। রাজ্যের প্রধান দল তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, জাতীয় কংগ্রেস ও বাম দল ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে।

নির্বাচন সামনে রেখে জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতাকে রাজ্যে নির্বাচন তদারকির জন্য পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

তাঁরা হলেন সুনীল দেওধর, বিনোদ সোনকার, বিনোদ তাওড়ে, দুষ্মন্ত গৌতম ও হরিশ দ্বিবেদি। তাঁরা কেউই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা নন। তাঁরা বুথ স্তর পর্যায়ের নির্বাচনী কাজ শুরু করেছেন। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ‘বহিরাগত’ তকমা লাগিয়ে প্রচার শুরু করে তৃণমূল।

এই প্রচারে ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলার উন্নয়নে অবাঙালিদের অবদান অনেক বেশি। কিন্তু তাঁরা বহিরাগত নন। ২০০ বছর আগে ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলায় বাইরের মানুষ এসে এখানে বসতি স্থাপন করে উন্নয়নে শরিক হয়েছেন। তাঁদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। তাঁদের অবদান অনেক বেশি। কেন এই বহিরাগত প্রশ্ন আসবে?

বিজেপি নেতা সুনীল দেওধর বলেছেন, বাংলার ভোট করবেন বাংলার নেতারাই। এখন আর তাঁদের পশ্চিমবঙ্গে আসার কোনো কর্মসূচি নেই।