দাঁত সাদা করার সাজা লাখ টাকা

ব্লিচ করে দাঁত সাদা করা হয়। স্কটল্যান্ডে আটজনে একজন বাসিন্দা দাঁত সাদা করেন। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
ব্লিচ করে দাঁত সাদা করা হয়। স্কটল্যান্ডে আটজনে একজন বাসিন্দা দাঁত সাদা করেন। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

ঝকঝকে সাদা দাঁত কে না চায়? টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনে এই সাদা দাঁতেরই জয়জয়কার। হাসিতে মুক্তো ঝরানোর কাজই করতেন স্কটল্যান্ডের ব্রেন্ডা ম্যাকফাডিয়েন। আর তা করতে গিয়েই বিপত্তি। দাঁত সাদা করতে গিয়ে জরিমানা গুনতে হলো একেবারে এক হাজার ইউরো। মানে প্রায় লাখ টাকা।

দ্য জেনারেল ডেন্টাল কাউন্সিল (জিডিসি) বলছে, কেবলমাত্র নিবন্ধিত দাঁতের চিকিৎসকেরাই দাঁত সাদা করতে পারেন। এ আইন না মেনে অবৈধভাবে দাঁত সাদা করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ব্রেন্ডাকে।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শেরিফ কোর্টে গত মাসে ব্রেন্ডাকে সাজা দেওয়া হয়। বিবিসিতে সম্প্রতি খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।

ব্রেন্ডা অবশ্য দাবি করেছেন, দাঁত সাদা করা যে অবৈধ, তা তিনি জানতেন না। হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড–জাতীয় পদার্থ দিয়ে ব্লিচ করে দাঁত সাদা করার কাজ করতেন ব্রেন্ডা।

বিভিন্ন জরিপ বলছে, আটজনে একজন স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা দাঁত সাদা করেন। ব্রেন্ডা বিবিসিকে বলেন, চার বছর ধরে তিনি দাঁত সাদা করার কাজ করছেন। তিনি এবং তাঁর স্বামী দুজনই অবসরপ্রাপ্ত। বাড়তি আয়ের জন্য তাঁরা এ কাজ করতেন। কিন্তু এটা যে অবৈধ, তিনি জানতেন না।

জিডিসি গোয়েন্দা লাগিয়ে ব্রেন্ডার বিরুদ্ধে তথ্য জোগাড় করে। দাঁতের চিকিৎসকদের অ্যাক্ট ১৯৮৪ অনুযায়ী, ব্রেন্ডার বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়। জিডিসি বিবিসিকে জানায়, জননিরাপত্তার কারণে তারা এই কাজ করেছে।

বুপা ডেন্টাল কেয়ারের দাঁতের চিকিৎসক জাসপল পুর্বা বলেন, ভুল উপায়ে দাঁত সাদা করলে মুখ ও জিভে অ্যালার্জি হতে পারে। মুখ ও জিভ ফুলেও যেতে পারে।