দ্বিতীয় ডোজের ৬ মাস পরও ৯৩% কার্যকর মডার্নার টিকা

মডার্নার উদ্ভাবিত করোনার টিকা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে টিকাকে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া অতিসংক্রামক ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধে টিকা কতটা সুরক্ষা দিতে পারে, সেটা নিয়েও চলছে আলোচনা। এর মধ্যেই মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না জানিয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরও করোনা থেকে ৯৩ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। মডার্নার পক্ষে থেকে আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

এর আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে মডার্না জানিয়েছিল, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৪ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। এরপরও প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করায় শীত মৌসুমে করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হতে পারে।

এদিকে ফাইজার–বায়োএনটেক করোনার টিকার বুস্টার ডোজের বিষয়ে কাজ করছে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল–জুন) আয়ের হিসাব দিতে গিয়ে মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ব্যানসেল জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ৮০ কোটি থেকে ১০০ কোটি ডোজের বেশি করোনার টিকা উৎপাদন করবে না প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে স্টিফেন ব্যানসেল বলেন, ‘আমরা এখন সক্ষমতা সীমিত করে আনছি এবং চলতি বছর সরবরাহ করার শর্তে নতুন করে আর কোনো ক্রয়াদেশ নেওয়া হচ্ছে না।’
এদিকে ফাইজার গত সপ্তাহে জানায়, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকার সক্ষমতা প্রতি দুই মাসে ৬ শতাংশ করে কমে আসে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পর ফাইজারের টিকার সুরক্ষা সক্ষমতা নেমে আসে প্রায় ৮৪ শতাংশে। মডার্না ও ফাইজার—দুই কোম্পানির করোনার টিকাই আরএনএ (এমআরএনএ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন করা হয়েছে।

স্টিফেন ব্যানসেল আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরও আমাদের কোভিড–১৯ টিকার সুরক্ষা সক্ষমতা (৯৩ শতাংশ) চমৎকার। তবে এরপরও অতিসংক্রামক ডেলটা ধরন এখন আমাদের সামনে নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটার বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

স্টিফেন ব্যানসেল এমন এক সময় এ মন্তব্য করলেন, যখন টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বুস্টার বা অতিরিক্ত ডোজ উৎপাদনের বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে। বিশেষত ডেলটা ধরনের সংক্রমণজনিত বিপর্যয় ঠেকাতে টিকার বুস্টার ডোজের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন দেশের জনস্বাস্থ্যবিদেরা।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার টিকার বুস্টার ডোজে বিনিয়োগের পরিবর্তে দরিদ্র মানুষের টিকার আওতায় আনার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। যদিও জার্মানি, ফ্রান্স, ইসরায়েলের মতো দেশগুলো সংক্রমণ ঠেকাতে বয়স্ক ও আগে থেকেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের দ্রুত করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।