নন্দীগ্রামে হারলেও মুখ্যমন্ত্রী হতে বাধা নেই মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফাইল ছবি: এএনআই

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে নন্দীগ্রামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও হেরে গেছেন দলটির নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন অনেকের কাছেই প্রশ্ন হয়ে উঠেছে, ভোটে হারার পর মমতার ভাগ্য কী হবে? টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন তিনি?

ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি-আনন্দের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটে হেরে গেলেও মমতার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রয়েছে ভারতের সংবিধানে। তবে কিছু নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হবে তাঁকে। সংবিধানে বলা আছে, কেউ হেরে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁর দল যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং দলের নতুন বিধায়কেরা তাঁকে নেতা বা নেত্রী নির্বাচিত করেন, তাহলে ওই প্রার্থীর মুখ্যমন্ত্রী হতে আইনি বাধা নেই। তবে তাঁকে ওই পদে বসার দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রত্যক্ষ ভোটে জিতে আসতে হবে।

সে ক্ষেত্রে মমতাকে নির্বাচনের পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে যে কোনো একটি আসন থেকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। তার জন্য তৃণমূলের কোনো একজন নির্বাচিত বিধায়ককে পদত্যাগ করতে হবে। উপনির্বাচনে জয় পেলে মমতা অনায়াসে পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন।

আরও পড়ুন

তিন দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ওই সময় তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি লড়েননি। পরে দল জয় পেলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেন তৃণমূলের বিধায়কেরা । এরপর লোকসভা থেকে পদত্যাগ করেন মমতা।

ভবানীপুরে সুব্রত বক্সির জেতা আসনে উপনির্বাচনে জিতে আসেন তিনি। পরে ২০১৬ সাল পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি।

আরও পড়ুন

এবার নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু এক সময় মমতার ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। এবার ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। নন্দীগ্রামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে মমতা-শুভেন্দুর।

নানা নাটকীয়তা শেষে এ আসনে চূড়ান্তভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে শুভেন্দুকে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, নন্দীগ্রাম আসনে এক লাখ ৯ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন শুভেন্দু। আর মমতা পেয়েছেন এক লাখ ৭ হাজার ৯৩৭ ভোট।