নাভালনির ঘটনায় তদন্ত চায় জাতিসংঘ, নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন বাইডেন

অ্যালেক্সি নাভালনি
ফাইল ছবি

রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে তাঁকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ারও দাবি তুলেছে জাতিসংঘ। নাভালনিকে আটকের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে চার জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরপরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এমন আহ্বান জানানো হলো।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কঠোর সমালোচক নাভালনির ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল গত বছরের ২০ আগস্ট। এর ফলে সাইবেরিয়া থেকে আকাশপথে মস্কো যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। তাঁকে মস্কো শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে জার্মানিতে নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পরে জার্মান সরকার জানায়, নাভালনির ওপর নোভিচক গ্রুপের নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল। যদিও রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিচারবহির্ভূত ও নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কাজ করার বিষয়ে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নাভালনির ওপর বিষ প্রয়োগের বিষয়টি জবাবদিহির আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাঁরা মস্কোর একটি কারাগার থেকে রুশ পেনাল কলোনিতে স্থানান্তরিত হওয়া নাভালনির দ্রুত মুক্তি দাবি করেছেন। একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চার কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই চার রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে থাকছে ইউরোপে তাঁদের সম্পত্তি জব্দ করার কথা বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

গত ১৭ জানুয়ারি জার্মানি থেকে সুস্থ্য হয়ে মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে নামার পর ৪৪ বছর বয়সী নাভালনিকে আটক করে রুশ পুলিশ। পরে তাঁকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেয় রুশ কর্তৃপক্ষ। এরপর এক রায়ে নাভালনির আড়াই বছরের জেল হয়।

এদিকে হোয়াইট হাউসের দুজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, নাভালনিকে বিষ প্রয়োগ ও কারাগারে পাঠানোর ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এর আগে অবশ্য রাশিয়ার ৩৫ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন নাভালনির সহযোগীরা। এই ৩৫ জনের বেশির ভাগই ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।