নিউজিল্যান্ডে মাস্ক পরা নিয়ে কড়াকড়ি শিথিল

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নিউজিল্যান্ডের নেওয়া উদ্যোগ সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়ায়
রয়টার্স ফাইল ছবি

মাস্ক পরার ব্যাপারে কিছু নিয়ম শিথিল করল নিউজিল্যান্ড সরকার। এখন থেকে অকল্যান্ড শহর বাদে দেশের অন্যত্র গণপরিবহনে মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

গত বুধবার জারি করা সরকারি ঘোষণায় বলা হয়, শুধু অকল্যান্ড বাদে দেশের অন্যত্র মাস্ক ছাড়াই লোকজন গণপরিবহনে উঠতে পারবেন। সম্প্রতি দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণের কেন্দ্র হয়ে ওঠে এই অকল্যান্ড।

গত সোমবার থেকে অকল্যান্ড বাদে দেশটির সর্বত্র মহামারিসংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া শুরু হয়।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নিউজিল্যান্ডের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। গত জুন মাসে দেশটি অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

কিন্তু গত আগস্ট মাসে অকল্যান্ডে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়। দেশটির বড় এই শহরটিতে সাময়িক লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৬৮ জন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৫ জন।

কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরুর দিকে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা হিসেবে চার স্তরের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয় নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে অকল্যান্ড বাদে দেশটির প্রতিটি অঞ্চল সবচেয়ে কম ঝুঁকির প্রথম স্তরে আসে। এর অর্থ হচ্ছে জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসে পুরো দেশে। চালু হয় খেলাধুলা ও বিয়ের অনুষ্ঠান।

এবার মাস্ক পরার নিয়মটি শিথিল করার মূল কারণ হলো দেশটিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের কোনো প্রমাণ নেই। তাই সরকার গণপরিবহনে মাস্ক পরার বিষয়টি বাধ্যতামূলক রাখেনি। তবে তারা মানুষকে গণপরিবহনে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করছে। এখন অকল্যান্ড দ্বিতীয় পর্যায়ের ঝুঁকির স্তরে আছে। তাই সেখানে এখনো মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।