মমতাকে ছুড়ে ফেলার হুংকার অমিত শাহর

বিজেপিতে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের ৩১ জন নেতা, সাংসদ, সাবেক মন্ত্রী, বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীসহ সাত বিধায়ক রয়েছেন। এ ছাড়া কংগ্রেস, সিপিআইএম ও সিপিআইয়েরও একজন করে বিধায়ক রয়েছেন।

জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজ মাঠে ১৯ ডিসেম্বর
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ক্ষমতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুড়ে ফেলার হুংকার দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই বাংলার মানুষ মমতা দিদিকে ছুড়ে ফেলবে। ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। গড়বে মোদিজির নেতৃত্বে সোনার বাংলা।’

অমিত শাহর সফর উপলক্ষে রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজ মাঠে আজ শনিবার আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই জনসভায়ই অমিতের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের ৩১ জন নেতা, সাংসদ, সাবেক মন্ত্রী, বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সদ্য বেরিয়ে যাওয়া মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম। তিনি একসময় মমতার ডান হাত বলে পরিচিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, শনিবার বিজেপিতে যোগ দেওয়া পশ্চিমবঙ্গের ৩১ নেতার মধ্যে বিধায়ক রয়েছেন ১০ জন। এই ১০ জনের মধ্যে আবার তৃণমূলেরই বিধায়ক রয়েছেন শুভেন্দুসহ সাতজন। বাকি তিন বিধায়কের মধ্যে একজন কংগ্রেস, একজন সিপিআইএম এবং একজন সিপিআইয়ের বিধায়ক। এ ছাড়া তৃণমূলের একজন সাংসদ ও একজন সাবেক সাংসদও রয়েছেন বিজেপিতে ভেড়া নেতাদের মধ্যে। শুধু তা–ই নয়, তৃণমূলের পৌর মেয়র ও জেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতাও মোদি-অমিতের দলে ভিড়েছেন। এ ছাড়া এদিন ছয়জন সংখ্যালঘু মুসলিম নেতাও বিজেপিতে যোগ দেন।

জনসভায় অমিত শাহ বলেন, ‘এই রাজ্যে বঙ্গ বিজেপি হারিয়ে দেবে তৃণমূলকে। বাংলায় পরিবর্তন চায় মানুষ। ২০০টির বেশি আসন নিয়ে এই রাজ্যে সরকার গড়বে বিজেপি। গোটা দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা দেখে ঘাবড়ে গেছেন দিদি। দিদির ভয়ের রাজনীতিকে উপেক্ষা করে এই রাজ্যের মানুষ এবার জিতিয়ে আনবে বিজেপিকে। জবাব দেবে তৃণমূলের খুন, অত্যাচার আর নিপীড়নের। এই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হবেন বাংলারই মানুষ।’

জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন অমিত শাহ। এ সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এখানে চলেছে ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি। আত্মসম্মান ভূলুণ্ঠিত। বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নামে দায়ের করা হয়েছে ১০০টি মামলা। তৃণমূলের হাতে খুন হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ১৩৫ জন নেতা-কর্মী। তৃণমূলে নীতিনৈতিকতায় অবক্ষয়ের কারণে আমি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে বাধ্য হয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, এই বাংলায় বিজেপিরই সরকার হবে। এই বাংলায় গণতন্ত্র ফিরবে। উপড়ে যাবে একনায়কতন্ত্রের শিকড়। মানুষ এবার দাবি তুলবে ভাইপোর অপসারণের। চুপসে যাবে ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করার স্বপ্ন। স্লোগান উঠবে তোলাবাজি হটাও।’