প্রত্যেককে টিকা দিতে হবে: গুতেরেস

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘টিকা পেতে অন্যকে বঞ্চিত করা মানে নিজেকেই বঞ্চিত করা।’

আন্তোনিও গুতেরেস

মহামারি থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে বিশ্বের প্রত্যেক মানুষকে টিকার আওতায় আনা। গত সোমবার বৈশ্বিক ইকোনমিক ফেরামে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। খবর এএফপির।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘গত দুই বছর একটি কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে গেছি আমরা। টিকা পেতে অন্যকে বঞ্চিত করা মানে নিজেকেই বঞ্চিত করা।’

গুতেরেস আরও বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তিকে টিকা দিতে ব্যর্থ হলে করোনার নতুন নতুন ধরনের জন্ম হবে, যা সবখানে ছড়িয়ে পড়বে এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও অর্থনীতিকে স্থবির করে দেবে। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ন্যায্যতা ও সমতার সঙ্গে মহামারির মোকাবিলা করার কথা বলেন। গুতেরেস আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও নেই।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম ফাইজার ও মডার্নার টিকার চতুর্থ ডোজ করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে আংশিক কার্যকর। ইসরায়েলে চতুর্থ ডোজ নিয়ে একটি ট্রায়াল শেষে গত সোমবার গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তেল আবিবের কাছেই সেবা মেডিকেল সেন্টারের একদল গবেষক অমিক্রন প্রতিরোধে মানবদেহে টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যকারিতা নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে পরীক্ষা শুরু করেন। সেখানে হাসপাতালে কাজ করেন, এমন ১৫৪ স্বাস্থ্যকর্মীকে ফাইজার ও ১২০ স্বাস্থ্যকর্মীকে মডার্নার টিকার ডোজ দেওয়া হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, টিকা নিরাপদ ও যথেষ্ট মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। কিন্তু অমিক্রন ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে এটি আংশিক কার্যকর।

এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক গিলি রেগেভ। তিনি বলেন, চতুর্থ ডোজ দেওয়ার পর অ্যান্টিবডি বাড়লেও অমিক্রন ধরনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে টিকা আংশিক কার্যকর। তবে অমিক্রনের আগের ধরনগুলোর বিরুদ্ধে টিকা অনেক বেশি কার্যকর বলেও জানান অধ্যাপক রেগেভ।

বিশ্বে প্রথম করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করা দেশগুলোর একটি ইসরায়েল। গত গ্রীষ্মে দেশটিতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। এখন বয়োজ্যেষ্ঠ ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছে ইসরায়েলে।