প্রথম মেয়ে হেলিকপ্টারে

শিশু রিয়াকে হেলিকপ্টারে করে দাদাবাড়ি নেওয়া হয়।
ছবি: সংগৃহীত

৩৫ বছর অপেক্ষার পর পরিবারে প্রথম কোনো কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। পরিবারটির কাছে এ যেন কোনো রাজকন্যারই আগমন। তাই তো তাকে বাড়ি আনা হয়েছে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, রাজস্থানের নাগর জেলায় হনুমান প্রজাপতের স্ত্রী চুকি দেবী গত মার্চে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। শিশুটির জন্ম হয় নাগর জেলা হাসপাতালে। শিশুটির নাম রাখা হয় রিয়া। হাসপাতাল থেকে তাকে প্রথমে নেওয়া হয় রাজস্থানের হারসোলাভ গ্রামে তার নানাবাড়িতে।

নানাবাড়িতে এক মাস থাকার পর গত বুধবার রিয়াকে নেওয়া হয় নাগর জেলার নিম্বড়ি চান্দয়াতা গ্রামে তার দাদাবাড়িতে। তবে রিয়ার দাদা মদনলাল কুমার যেনতেনভাবে নাতনিকে নিজ বাড়িতে স্বাগত জানাতে রাজি ছিলেন না। কারণ, ৩৫ বছরে এই প্রথম তাঁর পরিবারে কোনো কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। আর তাই তো মদনলালের মাথায় হেলিকপ্টারের পরিকল্পনাটি আসে।

এ ব্যাপারে রিয়ার বাবা হনুমান প্রজাপত সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা আমাদের মেয়ে, আমার রাজকন্যার বাড়িতে আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম। আমার ও আমার পরিবার সর্বোচ্চ হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাই করতে পারত এবং আমরা সেটাই করেছি।’

হনুমান প্রজাপতের বাবার বাড়ি নিম্বড়ি চান্দয়াতা গ্রাম থেকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি হারসোলাভ গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। হেলিকপ্টারে এ দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ১০ মিনিট। বুধবার প্রথমে নিম্বড়ি চান্দয়াতা গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে হনুমান ও তাঁর তিন আত্মীয় হারসোলাভ গ্রামে যান। সেখানে শ্বশুরবাড়িতে দুই ঘণ্টা সময় কাটিয়ে তাঁরা মেয়ে রিয়া ও হনুমানের স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।

নাতনিকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি আনার পরিকল্পনা সম্পর্কে হনুমানের বাবা মদনলাল বলেন, ‘৩৫ বছর পর আমাদের পরিবারে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। এ আনন্দেই আমরা এ ব্যবস্থা করেছি। আমি আমার নাতনির সব স্বপ্ন পূরণ করব।’