হাইতির প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা কৌঁসুলি বরখাস্ত

হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি
ফাইল ছবি: রয়টার্স

হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনাল মইসি হত্যাকাণ্ডে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা দেশটির প্রধান কৌঁসুলি বেডফোর্ড ক্লঁদেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার হাইতির প্রেসিডেন্ট হত্যায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানিয়েছিলেন ক্লঁদে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

গত জুলাই মাসে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনাল মইসিকে তাঁর নিজ বাসভবনে ঢুকে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। দুই মাস পরে প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি কর্তৃক কৌঁসুলিকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত দেশটির বর্তমান সরকারের মধ্যে বিবাদের বিষয়টি তুলে ধরেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের কমিশনার (ফেডারেল কৌঁসুলি পদমর্যাদার) বেডফোর্ড ক্লঁদে গত মঙ্গলবার হেনরির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন। মইসি হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজনের সঙ্গে হেনরির ফোনে কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর পরপরই হেনরি সরকারি নির্দেশ জারি করে বলেন, ‘আমি আপনাকে জানাতে পেরে আনন্দিত যে আপনাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

প্রেসিডেন্ট মইসি নিহত হওয়ার কয়েক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হেনরির নাম ঘোষণা করেছিলেন।

৭ জুলাই রাতে হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজ বাসভবনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জোভেনেল মইসি। ওই হত্যাকাণ্ডের পরে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ক্লঁদে জোসেফের সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে দুই সপ্তাহের উত্তেজনার পর প্রধানমন্ত্রী পদে আসেন হেনরি। ২০ জুলাই হেনরি শপথ নেন। তিনি দেশটির নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বর্তমানে হাইতিতে কোনো প্রেসিডেন্ট বা কার্যকর পার্লামেন্ট নেই।

মইসিকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ২০১৭ সাল থেকে হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মইসি। তাঁর পদত্যাগ দাবি করে দেশটিতে একাধিকবার বিক্ষোভ হয়।