ফাইজারের টিকার প্রথম চালান কানাডায় পৌঁছেছে

ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর
ছবি: এএফপি

ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার প্রথম চালান গতকাল রোববার কানাডায় পৌঁছেছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই তথ্য জানিয়েছেন। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

আজ সোমবারই কানাডায় করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। দেশটির কিছুসংখ্যক মানুষ আজ টিকাটি পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

গতকাল রাতে টুইটারে ট্রুডো বলেন, ‘ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার প্রথম ব্যাচ কানাডায় এসে পৌঁছেছে।’

একই টুইটে ট্রুডো একটি কার্গো উড়োজাহাজের ছবি দেন। এই উড়োজাহাজেই করোনার টিকা কানাডায় এসেছে বলে প্রতীয়মান হয়।

ট্রুডো বলেছেন, ‘করোনার টিকা কানাডায় এসেছে, এটা একটা ভালো খবর। তাই বলে করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শেষ নয়।’

ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা বেলজিয়ামে উৎপাদন করা হচ্ছে। সেখান থেকে গত শুক্রবার টিকার চালানের যাত্রা শুরু হয়। জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র হয়ে টিকার চালান কানাডায় আসে।

প্রাথমিকভাবে কানাডার ১৪টি স্থানে ৩০ হাজার ডোজ করোনার টিকা সরবরাহ করা হবে। শুরুতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে এই টিকা দেওয়া হবে।

গত বুধবার ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা হেলথ কানাডা। তারা জানায়, টিকাটি নিরাপদ, কার্যকর ও ভালো মানের বলে প্রমাণ পাওয়ায় তা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কানাডা সরকার ইতিমধ্যে এই টিকার দুই কোটি ডোজের ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে। প্রয়োজনে তারা আরও টিকা কিনবে।

কানাডার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ।

কানাডায় এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ১৩ হাজার ৪৩১ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে আজ থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রয়োগ শুরু হতে পারে। প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে আগেই এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আরও কয়েকটি দেশ টিকাটির অনুমোদন দিয়েছে।