বরিসের এ কেমন আচরণ?

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে  বৈঠকের একপর্যায়ে টেবিলে পা তুলে দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত বৃহস্পতিবার প্যারিসে এলিসি প্রাসাদে।  ছবি: বিবিসি
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে বৈঠকের একপর্যায়ে টেবিলে পা তুলে দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত বৃহস্পতিবার প্যারিসে এলিসি প্রাসাদে। ছবি: বিবিসি

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বৈঠক মধুর হবে, সেটাই স্বাভাবিক। ইউরোপের দুই ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের কথা তা–ই বলে। তবে গত বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্রাসাদে মাখোঁ ও বরিসের বৈঠকের একটি ছবি তুমুল আলোচনা–সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, বৈঠকের সময় বরিস একটি টেবিলের (ছোট টুল) ওপর পা তুলে দিয়েছেন। বিষয়টি  নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরিসের মুণ্ডুপাত চলছে।

উভয় দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বলছেন, বরিসের আচরণ আপমানজনক। তবে এই ঘটনা নিয়ে চলা বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মাখোঁ বরিসের সঙ্গে কৌতুক করছেন। আর তার জবাব দিচ্ছেন বরিস। মাখোঁ টেবিল ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। এরপর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী সেটিতে পা তুলে দিয়ে আশেয়ি ভঙ্গিতে খোশগল্পে মাতেন।

একজন ব্রিটিশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী বরিস জনসনের আচরণের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘যদি বাকিংহাম প্যালেসে কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রী এই কাণ্ড ঘটাতেন, তাহলে কল্পনা করুন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর ক্ষোভ কেমন হতো?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এটনে (ব্রিটিশ কলেজ) তাঁরা নিশ্চিতভাবে ভালো আচরণ শেখেননি।’ এক ফরাসি বলেছেন, ‘ব্রিটিশ মান, অদ্ভুত স্টাইল ও আরেকটি বজ্রাঘাত: আমি চিন্তা করছি বিষয়টি নিয়ে রানির ভাবনা কী।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সাবেক চিকিৎসক অ্যালেস্টার ক্যাম্বেলও এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, জার্মান চ্যান্সেলর ও ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার সময় যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গভঙ্গি এবং প্রেসিডেন্টের টেবিলে পা তুলে দেওয়ার ঘটনা খুবই বিব্রতকর। তিনি যে আচরণ করেছেন, তা ঔদ্ধত্য ও অসম্মানের।

তবে স্কাই নিউজের রাজনৈতিক সংবাদদাতা টম রায়না এই ঘটনাকে ভিন্নভাবে দেখছেন। তিনি বলেন, খোশগল্পের অংশ হতে পারে এটা। ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলোও বিষয়টি সেভাবে বর্ণনা করেছে। লে প্যারিসিয়েন সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, এমানুয়েল মাখোঁর টেবিলে পা তুলে দিয়ে ফ্রান্সকে অসম্মান করেননি বরিস জনসন।