বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই ওয়াশিংটন ছাড়বেন ট্রাম্প

সামরিক মহড়া পরিদর্শনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে না থাকার কথা আগেই জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার জানা গেল, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে যাবেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক খবরে বিষয়টি জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র শুক্রবার বলে, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিন সকালেই ট্রাম্প ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে যাবেন। এর আগে তিনি অভিষেকের আগের দিন, আগামী মঙ্গলবারই ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

সূত্রটি আরও বলেছে, ট্রাম্প তাঁর বিদায়ী অনুষ্ঠান ওয়াশিংটনের বাইরের ঘাঁটি জয়েন্ট বেইজ অ্যান্ড্রুজে করার পরিকল্পনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ারফোর্স ওয়ানের সদর দপ্তর এই ঘাঁটিতে। জয়েন্ট বেইজ অ্যান্ড্রুজে বিদায়ী অনুষ্ঠান শেষে ট্রাম্প ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচে উড়ে যাবেন। সেখানে তাঁর মার-এ-লাগো রিসোর্টে তিনি শুরু করবেন তাঁর পরবর্তী জীবন। হোয়াইট হাউসে বর্তমানে কর্মরত বেশ কয়েকজন সহকারীও ওই রিসোর্টে তাঁর জন্য কাজ করবেন বলে জানা গেছে।

এক জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, বাইডেনের শপথের আগে তাঁকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানাতে ট্রাম্পকে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁর কয়েকজন উপদেষ্টা। তবে এতে কান দিচ্ছেন না ট্রাম্প।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও কয়েকজনকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা ঘোষণার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প। এই তালিকায় তিনি নিজেকেও বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি দুইবার অভিশংসিত হয়েছেন। সর্বশেষ তাঁকে গত সপ্তাহে অভিশংসিত করে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেয় প্রতিনিধি পরিষদ। এবার এই অভিযোগে বিচার শুরু হবে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে। তবে তা ২০ জানুয়ারির আগে হবে না বলে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেল। অনেকেই ধারণা করছেন, বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হবে ডেমোক্রেটিক পার্টি। এরপর বিচারপ্রক্রিয়ায় ট্রাম্পকে পরবর্তী সময়ে আবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে।