মোদির সঙ্গ ছাড়ল আরও এক শরিক

ভারতে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন কৃষকেরা। ২৬ ডিসেম্বর তাঁরা রাজধানী নয়াদিল্লির সীমান্তবর্তী একটি মহাসড়ক অবরোধ করেন। এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে এনডিএ জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপির শরিক দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি
ছবি: এএফপি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিও জোট ছাড়ল আরও এক শরিক। দেশটিতে চলমান কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বিজেপির শরিক দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির (আরএলপি) নেতা লোকসভার সদস্য হনুমান বেনিওয়াল আজ শনিবার জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আন্দোলনরত কৃষকেরা আরও একবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তাঁরা বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। যদিও সেই বৈঠকের আলোচ্যসূচির এক নম্বরে রাখা হয়েছে তিন কৃষি আইনের বিলোপ। শনিবার কৃষকনেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।

কৃষকদের ওই সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে কৃষি আইন বাতিলের জন্য সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেয় রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি। দলটির নেতা হনুমান বেনিওয়াল বলেন, তাঁর দল কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে এনডিএ জোট ছাড়ছে।

রাজস্থান বিধানসভায় রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির সদস্যসংখ্যা ৩। দলটির এ সিদ্ধান্ত হরিয়ানার বিজেপি শরিক জননায়ক জনতা পার্টির (জেজেপি) ওপর জোট ছাড়ার চাপ আরও বাড়িয়ে তুলল। জেজেপি জোট ছাড়লে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পতন অনিবার্য।

এদিকে আন্দোলনরত কৃষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা চারটি বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানানোও হয়েছে। এই বিষয়গুলো হলো তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের বিলোপ, সব ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি স্বীকৃতি, রাজধানী দিল্লি ও তার সংলগ্ন অঞ্চলের কৃষকদের দূষণ রোধ অধ্যাদেশ থেকে মুক্ত রাখা এবং কৃষক স্বার্থে বিদ্যুৎ সংশোধন বিলে পরিবর্তন।

তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি আইন বাতিলে এখনো নারাজ। গতকাল শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, দু–এক বছর পর দেখা যাবে, নতুন আইন কৃষকদের কতটা উপকারে আসছে। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।