বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৪ কোটি ২১ লাখ ছাড়াল

বিশ্ব করোনা সংক্রমণ বাড়ছে
প্রতীকী ছবি

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ২১ লাখ ছাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আজ শনিবার সকালে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ২১ লাখ ১৪ হাজার ৫২৪।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, একই সময় বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১১ লাখ ৪৩ হাজার ২৯১ জন।

বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ৭৪৪।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯১। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৯১৪ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৭ লাখ ৬১ হাজার ৩১২। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০৬ জন।

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫৬। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭১ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। আর্জেন্টিনা ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। কলম্বিয়া অষ্টম। মেক্সিকো নবম। পেরু দশম।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।

১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৩। গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট ৫ হাজার ৭৬১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকার।

দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ১২ হাজার ৬৫।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় সরকার।

বাংলাদেশে মার্চের শুরুর দিকে সংক্রমণ শনাক্ত হলেও দ্রুত ছড়াতে শুরু করে মে মাসের মাঝামাঝি গিয়ে। জুনে সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করে। মাস দুয়েক ধরে নতুন রোগী ও রোগী শনাক্তের হার কমছে। তবে এখন আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুরুর দিকে মৃত্যু কম হলেও ক্রমে তা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে জুন, জুলাই, আগস্টে মৃত্যুর ঘটনা ছিল বেশি। সেপ্টেম্বর থেকে মৃত্যু কমেছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ১ হাজার ৫৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে আরও ১ হাজার ৫৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন।