বিশ্বে শনাক্ত রোগী ৩ কোটি ছাড়াল, মৃত প্রায় সাড়ে ৯ লাখ

করোনাভাইরাস রোধে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে
ছবি: এএফপি

বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত নিশ্চিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়েছে। মোট মারা গেছে ৯ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্যের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইন এ কথা জানিয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর তা দ্রুত সারা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রায় ১০ মাস ধরে বিশ্ব করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

বিশ্বে এখনো করোনা ছড়ানোর হার কমছে না। এই ভাইরাসের কার্যকর টিকা তৈরিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনরাত কাজ করে চলছেন গবেষকেরা।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪১১। মোট মারা গেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৩ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পরে করোনায় বিশ্বে দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ভারত। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫১ লাখ ১৮ হাজার ২৫৩। মোট মারা গেছে ৮৩ হাজার ১৯৮ জন। দেশটিতে কয়েক দিন ধরে দৈনিক ৯০ হাজারের বেশি মানুষ শনাক্ত হচ্ছে।

করোনায় বিশ্বে তৃতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে মোট শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৬। মোট মারা গেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৫ জন।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্বেগ।

করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের আশঙ্কা করছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইতালি ও জার্মানি।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করছে। নতুন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

করোনার সংক্রমণ শনাক্তের পরীক্ষা
ছবি: এএফপি

যুক্তরাজ্যের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে পানশালা তাড়াতাড়ি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বিধিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে ইসরায়েলে আজ থেকে দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরু হওয়ার কথা। এই লকডাউন অন্তত তিন সপ্তাহ বলবৎ থাকবে।

করোনার ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টা চলছে বিভিন্ন দেশে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, আগামী ৩ নভেম্বরের আগেই ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে। ট্রাম্পের এ কথায় অনেক বিশেষজ্ঞ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কারম্যান রেইনহার্ট বলেন, মহামারির কারণে যে মন্দা দেখা দিয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে দরিদ্র দেশগুলোর সময় বেশি লাগবে। এর মধ্য দিয়ে দরিদ্র ও ধনীদের মধ্যে ব্যবধান আরও স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কারম্যান রেইনহার্ট আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ মহামারির কারণে বৈশ্বিক দারিদ্র্যের সূচক আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে।