বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি এমিলিও মার্কেজ
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের পুয়ের্তো রিকোয় এমিলিও ফ্লোরেস মার্কেজ নামের এক আখচাষিকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। ১১৩তম জন্মদিন পালনের কয়েক সপ্তাহ আগে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯০৮ সালের ৮ আগস্ট পুয়ের্তো রিকোর ক্যারোলিনায় জন্মগ্রহণ করেন মার্কেজ। গত বুধবার তাঁর ১১২ বছর ৩২৬ দিনে এ ঘোষণা দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। ১১ ভাইবোনের মধ্যে মার্কেজ দ্বিতীয়। ছোটবেলা থেকেই ঘরের বিভিন্ন কাজকর্ম এবং ছোট ভাইবোনের লালনপালনের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আখখেতে বাবার কাজেও সাহায্য করতে হতো তাঁকে। কিশোর বয়সেই তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তখন থেকেই গাছে পানি দেওয়া ও আখ কেটে পরিবহনের জন্য প্রস্তুত করতেন তিনি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে তিনি বলেন, ‘আমাকে সব কাজ করতে হতো।’ মার্কেজের স্ত্রীর নাম আন্দ্রে পেরেজ, তিনি ২০১০ সালে মারা যান। এই দম্পতির চার সন্তান রয়েছে। বর্তমানে মার্কেজের পাঁচ নাতি-নাতনি ও নাতি-নাতনিদের পাঁচ সন্তান রয়েছে।
মার্কেজ ইতিমধ্যেই তাঁর শ্রবণশক্তি প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন। এ ছাড়া ১০১ বছর বয়সে অস্ত্রোপচার করে পেসমেকারও বসানো হয়েছে। তিনি ‘ডন মিলো’ নামেও পরিচিত। ‘রাগহীন জীবনযাপন এবং ভালোবাসার প্রাচুর্যতাই’ মার্কেজের দীর্ঘজীবী হওয়ার চাবিকাঠি বলে জানানো হয়েছে গিনেসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
মার্কেজ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেন, ‘বাবা আমাদের সবাইকে ভালোবাসতেন, আমাকেও ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাবা আমার ভাই-বোনদের ভালো কাজ করার পরামর্শ দিতেন এবং অন্যদের সঙ্গে সবকিছু ভাগাভাগি করে নিতে বলতেন।’
এর আগে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে রোমানিয়ার ডুমেক্রি কমনিস্কু বিশ্বের বয়স্ক মানুষের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ১১১ বছর ২১৯ দিন বয়সে স্বীকৃতি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ২০২০ সালের ১৭ জুন মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর গিনেস কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্কেজ কমনিস্কুর চেয়ে তিন মাসের বড় এবং তাঁদের কাছে এর প্রমাণও রয়েছে।