যুক্তরাষ্ট্রে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মারা যেতে পারে পাঁচ লাখ

যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে ২ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে
প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মারা যেতে পারেন। তবে সবাই মাস্ক পরলে এর মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজারের মতো মানুষের জীবন বাঁচানো যাবে। নতুন এক গবেষণার পর শুক্রবার এসব কথা বলেছেন গবেষকেরা।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিকস অ্যান্ড ইভাল্যুশনের (আইএইচএমই) গবেষকেরা। এতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত কোভিডের কার্যকর চিকিৎসা নেই। হাতে আসেনি কার্যকর টিকাও। এ অবস্থায় শীত মৌসুমজুড়ে এই ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্যগত বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

গবেষণায় যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, আইএইচএমই পরিচালক ক্রিস মুররে তাঁদের অন্যতম। তিনি বলেন, বিভিন্ন আন্দাজের সঙ্গে রয়েছে বাস্তব জীবনের বর্তমান তথ্য–উপাত্ত। করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। সুতরাং এই বৈশ্বিক মহামারি বিদায় নিচ্ছে, এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই।

যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে ২ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আইএইচএমইয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও ফ্লোরিডার মতো জনবহুল অঙ্গরাজ্যগুলোতে করোনার প্রকোপ আরও বাড়বে। সার্বিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন মৃত্যুর সংখ্যা ডিসেম্বরের শেষে ও জানুয়ারিতে বেড়ে যেতে পারে।

আইএইচএমই এই গবেষণা চালিয়েছে ‘মডেলিং স্টাডি’ পদ্ধতিতে। এর আওতায় বিভিন্ন দৃশ্যপটের মানচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে এগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব আন্দাজ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মাস্কের ব্যবহার সর্বজনীন নয়। নিউইয়র্কের মতো অঙ্গরাজ্যে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে কঠোর বিধিবিধান করা হয়েছে। আবার অনেক অঙ্গরাজ্যে এমন কোনো বিধিবিধান নেই। অথচ পুরো দেশে সর্বজনীনভাবে মাস্কের ব্যবহার হলে তা কোভিডে মৃত্যুর হার কমাতে বড় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।