সৌদি আরামকোর আয় কমেছে প্রায় অর্ধেক

ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বজুড়ে লকডাউনে পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজার। তার ধাক্কা লেগেছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর ব্যবসায়। গত বছর তাদের আয় ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ কমেছে।

শনিবার প্রতিষ্ঠানটি এ ঘোষণা দিয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানিগুলোর অন্যতম সৌদি আরামকো। মন্দার বছরেও ৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলার (৪৯ বিলিয়ন ডলার) মুনাফা করেছে তারা। কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। এর পরিমাণ হবে ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার (৭৫ বিলিয়ন ডলার)। আরামকোয় সবচেয়ে বেশি শেয়ার রয়েছে সৌদি আরব সরকারের।

কোম্পানিটি বলছে, ২০২০ সাল ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বছরগুলোর একটি’।

গত বছর দেশে দেশে কয়েক মাস ধরে লকডাউনে বিমান ও যান চলাচল, শিল্প–কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডও সীমিত হয়ে পড়ে। এসবের কারণে বিশ্বে জ্বালানি ও তেলের চাহিদা কমে যায়।
রয়েল ডাচ শেল ও বিপির মতো অন্যান্য বড় তেল ও গ্যাস কোম্পানির গত বছর মুনাফা কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় জ্বালানি কোম্পানি এক্সন মোবিল প্রথমবার তাদের লোকসান হওয়ার তথ্য দিয়েছে।

করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার পর গত ডিসেম্বর থেকে জ্বালানি তেলের দামের ধস থেকে কিছুটা উঠতে শুরু করে। প্রতি ব্যারেল তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল) দাম ৬৪ দশমিক ৫৩ ডলারে উঠেছে।

সৌদি আরামকোর প্রধান নির্বাহী আমিন নাসের বলছেন, এশিয়ায় তেলের চাহিদা বাড়ছে। অন্যান্য জায়গায়ও ইতিবাচক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
দেশে দেশে পুনরায় অর্থনীতি চালু করায় এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

তবে অন্য চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হচ্ছে আরামকোকে। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি সরকারের সম্পৃক্ততার জেরে সম্প্রতি আরামকোর স্থাপনায় দুই দফা ড্রোন হামলা হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার রিয়াদে তাদের একটি তেল পরিশোধনাগারে হামলায় আগুন ধরে যায়।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই পরিশোধনাগারে আবার কাজ শুরু হয় বলে আমিন নাসের জানিয়েছেন। এ ধরনের হামলা সামলে নিতে জরুরি সাড়া প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন তিনি।