হাইতির প্রেসিডেন্ট হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন জ্যামাইকায় গ্রেপ্তার

জোভেনেল মইসি
ছবি: রয়টার্স

ক্যারাবিয়ান দেশ জ্যামাইকার কর্তৃপক্ষ হাইতির এক সাবেক সিনেটরকে গ্রেপ্তার করেছে। গত জুলাইয়ে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি হত্যার অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন তিনি। জ্যামাইকার জাতীয় পুলিশ গতকাল শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।

জ্যামাইকার পুলিশের মুখপাত্র ডেনিস ব্রুকস রয়টার্সকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম জন জোয়েল জোসেফ। তিনি হাইতির একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদ। জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন তিনি। তাঁকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জোয়েল জোসেফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান ব্রুকস। এফবিআইও এই হত্যার তদন্ত করছে।

জ্যামাইকার ঠিক কোথায় জোয়েল জোসেফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়।

গত ৭ জুলাই রাতে হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের ব্যক্তিগত বাসভবনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি।

জোভেনেল মইসি হত্যার জেরে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে অনুসন্ধানের পাশাপাশি গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়।

জোভেনেল মইসি হত্যার কয়েক দিন পর দেশটির তৎকালীন জাতীয় পুলিশের প্রধান লিওন চার্লস বলেছিলেন যে হত্যার চক্রান্তের মূল কুশীলবদের একজন জোয়েল জোসেফ।

জোয়েল জোসেফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তিনি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন। তিনি হত্যার বিষয়ে বৈঠকও করেছিলেন।

জোয়েল জোসেফকে হাইতির পুলিশ খুঁজছিল।

জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডের পর বেশকিছু লোককে গ্রেপ্তার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের জেরে ক্যারিবিয়ান দেশ হাইতিতে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়।

জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত করেনি হাইতি। এ ছাড়া এই হত্যার তদন্ত নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে তদন্তে বিলম্ব ও ভয়ভীতি প্রদর্শন।

জোভেনেল মইসি হত্যার ঘটনায় চলতি মাসে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এক কলম্বিয়ানকে অভিযুক্ত করে।