হৃদয়ের রাজকন্যা

রাজপরিবারের খোলস ছেড়ে মানবতার কাজে ডায়ানা বারবার এগিয়ে এসেছেন একজন ‘ব্যক্তি’ হিসেবে। শতাধিক সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন। যদিও প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর অনেক সংস্থার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছয়টি দাতব্য সংস্থার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি।

ভূমিমাইন নিষিদ্ধ করার দাবিতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ডায়ানা। এমনকি বসনিয়া ও অ্যাঙ্গোলাতে তিনি নিজেও বোমা নিষ্ক্রিয়করণের কাজ করেছেন। ডায়ানাই প্রথম লন্ডনের হাসপাতালে ‘এইডস ওয়ার্ড’ চালু করেন, সেখানে শুধু এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হতো। কুষ্ঠরোগীদের নিয়ে কুসংস্কার দূর করতে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। ইন্দোনেশিয়ায় একজন কুষ্ঠরোগীর সঙ্গে তাঁর হাত মেলানো ও ব্যান্ডেজের ওপর হাত বুলিয়ে দেওয়ার ভিডিও বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। নেপাল, জিম্বাবুয়ে, ভারতের কুষ্ঠ হাসপাতাল ঘুরে দেখেছেন তিনি। এ ছাড়া সেন্টার পয়েন্ট নামে একটি দাতব্য সংস্থার উপদেষ্টা হিসেবে ঘরহারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস।