১০ লাখের বেশি শিশু তাদের মা কিংবা বাবাকে হারিয়েছে

করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ১০ লাখের বেশি শিশু তাদের মা কিংবা বাবাকে হারিয়েছে। এ ছাড়া ১৫ লাখ শিশু তাদের মা–বাবা বা দাদা-দাদি, কিংবা এমন স্বজনকে হারিয়েছে—যাঁরা তাদের দেখাশোনা করতেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে এ কথা জানানো হয়। এ গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট–এ প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সুসান হিলিস সিএনএনকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই এ ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রতি দুজনের মধ্যে একজন কোনো শিশুর মা-বাবা কিংবা তাদের লালনপালনকারী।

গবেষণায় সিডিসি, ইউএসএইড, বিশ্বব্যাংক ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন যৌথভাবে অংশ নেয়। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, বিশ্বে করোনায় মৃত মোট মানুষের মধ্যে ৭৬ শতাংশের বেশি মারা গেছেন ২১টি দেশে। গবেষকেরা এ দেশগুলোতে প্রায় এক বছর ধরে কাজ করেছেন। তাঁরা এইডস ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কারণে এসব দেশে এতিম হওয়া শিশুদের একটি তালিকা করেছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১ লাখ ৩৪ হাজার শিশু তাদের মা-বাবা কিংবা দাদা-দাদিকে হারিয়েছেন। এতে আরও বলা হয়, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ লাখ ৬২ হাজার শিশুকে দেখভাল করা অভিভাবকের মৃত্যু হয়েছে।

গবেষকেরা বলেছেন, শিশুরা তাদের মা-বাবা কিংবা দেখভাল করার মানুষ হারিয়েছে, উদ্বেগের বিষয় শুধু এটাই নয়। তারা নিজেরাও ভাইরাসের সংক্রমণ, নিপীড়নের শিকার কিংবা দারিদ্র্যের শিকার হওয়ার আশঙ্কার মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

সিডিসির সুসান হিলিস বলেন, এ শিশুরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। হয়তো আজীবন তাদের এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।