১৬ কোটি বছর আগে ছিল ‘কাঁটাওয়ালা’ ডাইনোসর

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিদায় নিয়েছে বহু আগেই। তবে অতিকায় প্রাণীটি নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। বিভিন্ন সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে ডাইনোসরের জীবাশ্ম। এবার বিজ্ঞানীরা ডাইনোসরের ‘বেশ কিম্ভুতকিমাকার’ একটি প্রজাতির জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন। আমরা সচরাচর ডাইনোসরের যেসব জীবাশ্মের ছবি দেখি, তাতে প্রাণিটির পিঠের ওপর হাড়ের সুচালো কাঁটা দেখা যায়। নতুন শনাক্ত হওয়া ডাইনোসরের পুরো শরীরে এমন বিশেষ সুচালো কাঁটা রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া এ প্রজাতির ডাইনোসরের নাম স্পিকোমেলাস অ্যাফের।

অ্যাঙ্কিলোসাউরাস নামের ডাইনোসরের খুবই প্রাচীন একটি দলের অন্তর্ভুক্ত এটি। ডাইনোসরের প্রজাতিটি শনাক্তকারী গবেষক দলে ছিলেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সুশানা সি আর ম্যাডমেন্ট। তিনি জানান, আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় এর সন্ধান পাওয়া গেছে। আফ্রিকায় এমন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম এবারই প্রথম শনাক্ত হয়েছে। এর আগে এমন কাঁটাযুক্ত ডাইনোসরের জীবাশ্ম শুধু লাতিন আমেরিকায় শনাক্ত হয়েছিল।

গবেষণা প্রতিবেদনটি নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর বুকে এমন বিচিত্র ডাইনোসর প্রায় ১৬ কোটি বছর আগে বাস করত। বিজ্ঞানীরা জানান, বছরজুড়ে মাটি খুঁড়ে বেশ কয়েকটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে। এর কয়েকটির শরীরের উপরিভাগের ত্বকে বাড়তি হাড়ের কাঁটা দেখা গেছে। কয়েকটির লেজের শেষভাগে বড় আকারের হাড়ের অংশ রয়েছে।

এ বিষয়ে গবেষক সুশানা বলেন, ‘যখন আমরা জীবাশ্মগুলো খুঁজে পাই, তখন মনে হয়েছিল, এগুলো ডাইনোসরের নিকটাত্মীয় কোনো প্রজাতির। পরে আমরা এর পুরো শরীরে কাঁটা দেখতে পাই। প্রাণিটির বুক–পিঠ–লেজের পৃষ্ঠভাগজুড়ে কাঁটার মতো সুচালো অংশ রয়েছে। এ আবিষ্কার ডাইনোসরের বিবর্তনের পুরো প্রক্রিয়া বোঝার ক্ষেত্রে যেসব ফাঁক রয়েছে, তার অনেকটাই পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।’

তবে নতুন শনাক্ত হওয়া এ প্রজাতির ডাইনোসরের শরীরে এমন সুচালো হাড়ের অংশ কীভাবে এল, সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। বিষয়টি নিয়েই এখন গবেষণা করছেন তাঁরা।