১৬ লাখ টাকার ব্যাগ জলে

ছবি বিবিসির সৌজন্যে

চামড়ার ব্যাগটি কেনা হয়েছিল ফ্রান্স থেকে। সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় এক নারী ব্যাগটি আমদানি করেন। কুমিরজাতীয় সরীসৃপ অ্যালিগেটরের চামড়া দিয়ে বানানো ব্যাগটির দাম অস্ট্রেলীয় মুদ্রায় ২৬ হাজার ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। কিন্তু বৈধ অনুমতি ছাড়া আমদানি করায় ব্যাগটি নষ্ট কর ফেলা হচ্ছে। তার মানে শখ পূরণ করতে গিয়ে এত্তগুলো টাকা যাচ্ছে জলে।

আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, বিলাসবহুল ব্যাগটি ফ্রান্সের সেন্ট লরা বুটিক থেকে কেনা হয়। অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ব্যাগটি জব্দ করে।

সঠিক কাগজপত্রের আবেদনের জন্য এটিকে ‘ব্যয়বহুল অনুস্মারক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
পরিবেশমন্ত্রী, অস্ট্রেলিয়া

অ্যালিগেটরের চামড়ার তৈরি পণ্য অস্ট্রেলিয়ায় আমদানির অনুমতি রয়েছে। তবে এ জন্য ক্রেতাদের ৭০ অস্ট্রেলীয় ডলারের বিনিময়ে অনুমতি নিতে হয়; বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ৪ হাজার ৩০৪ টাকা। দেশটির পরিবেশমন্ত্রী সঠিক কাগজপত্রের আবেদনের জন্য এটিকে ‘ব্যয়বহুল অনুস্মারক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

কৃষি, পানি ও পরিবেশ বিভাগ বলছে, অবৈধভাবে ব্যাগ আমদানির জন্য ওই নারীর ২৬ হাজার ৩১৩ অস্ট্রেলীয় ডলার বা ১৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা জলে গেল। এ কারণে তাঁরা ওই নারীর বিরুদ্ধে আর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

পরিবেশ সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আইন ১৯৯৯-এর অধীনে বন্য প্রাণী বাণিজ্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ ২২ হাজার ডলার জরিমানা। টাকায় এর পরিমাণ ১ কোটি ৮৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬৬।

বিপন্ন বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কনভেনশনের (কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এনডেঞ্জারড স্পাইসেস অব ওয়াইল্ড ফোনা অ্যান্ড ফ্লোরা) (সাইটস) কঠোর নিয়ম মেনে অ্যালিগেটরের চামড়া দিয়ে তৈরি পণ্য অস্ট্রেলিয়ায় আসার অনুমতি পায়।

পরিবেশমন্ত্রী সুসান লে বলেন, ‘আমরা অনলাইনে কী কিনছি, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য প্রাণিজ পণ্যের বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেন, বন্য প্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে অস্ট্রেলিয়ায় কী আসছে ও এ দেশে থেকে কী যাচ্ছে, সে বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে সরকার।

ব্যাগের ক্রেতা ফ্রান্স থেকে সাইটসের রপ্তানির অনুমতিপত্র নিয়েছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার সাইটস ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমদানির অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করেনি।

অস্ট্রেলীয় সরকার বলছে, সীমান্তে অবৈধ উপায়ে বন্য প্রাণী আমদানির ঘটনার নজরদারি করছে তারা।