বাস্তুচ্যুত ৩ কোটি ৬৫ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
বিশ্বজুড়ে সংঘাত, সহিংসতা ও এ–সংশ্লিষ্ট কারণে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৫ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সংখ্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ।
এর মধ্যে ১ কোটি ৩৭ লাখ শিশু রয়েছে, যারা শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে ও রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া সংঘাত ও সহিংসতার কারণে ২ কোটি ২৮ লাখ শিশু নিজ দেশে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে বাধ্য হয়েছে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যেসব শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তারা এই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত নয়। এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন এম রাসেল বলছেন, ‘আমরা এই তথ্য অস্বীকার করতে পারব না যে সহিংসতা ও সংকট দিন দিন বাড়ছে এবং আমাদের দায়িত্ব হলো ওই শিশুদের রক্ষা করা।’ ২০২১ সালে বাস্তুচ্যুত শিশুর যে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে, তা শিশুদের রক্ষার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে দেশে দেশে সরকারকে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ ছাড়া যেসব শিশু ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের পড়াশোনা, সুরক্ষা ও বিভিন্ন সেবা দেওয়ার ব্যাপারে এসব দেশের সরকার এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শরণার্থী শিশুদের মধ্যে অর্ধেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকে। এক–চতুর্থাংশ শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায়। এই শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা যেমন প্রয়োজন, তেমনি সুরক্ষা, শিক্ষাও প্রয়োজন।
২০২১ সালে ২২ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর ইউক্রেনে বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা এর মধ্যে যোগ না করা হলেও আলাদা করে একটি হিসাব দিয়েছে ইউনিসেফ। এতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার এই হামলার কারণে ২০ লাখ শিশু ইউক্রেন ছেড়েছে। আর ৩০ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আবার বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অনেক দেশে শিশু ও তাদের পরিবার নিজেদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ৭৩ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারতও রয়েছে।