নৃত্যগুরু রাহিজা খানম ঝুনু আর নেই

রাহিজা খানম ঝুনু।
রাহিজা খানম ঝুনু।

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত নৃত্যগুরু, নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক এবং বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি রাহিজা খানম ঝুনু আর নেই। রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল সাড়ে সাতটায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি অসুস্থতার কারণে সপ্তাহ খানেক হাসপাতালে কাটিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। বাসায় ফেরার পর আবার অসুস্থ হওয়ায় ১৪ নভেম্বর তাঁকে ভর্তি করা হয় ল্যাব এইড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, রাহিজা খানম ঝুনুর মৃত্যুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেছেন।

দীর্ঘদিন বুলবুল ললিতকলা একাডেমির (বাফা) অধ্যক্ষ ছিলেন রাহিজা খানম ঝুনু। মৃত্যুর আগে তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের (বাফা) চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ ছিলেন। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত নৃত্যশিল্পীদের বেশির ভাগই তাঁর ছাত্রছাত্রী। নৃত্যশিল্পীদের অনেকের কাছে তিনি ‘গুরুমা’ নামে পরিচিতি। তিনি সাবেক সাংসদ মরহুম আমানউল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী। মৃত্যুকালে তিনি এক মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।

আজ বাদ জোহর পুরান ঢাকার কায়েতটুলী মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে রাহিজা খানম ঝুনুর মরদেহ বেলা দুইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হবে। এখানে জানাজা শেষে সবার শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। এরপর তাঁর মরদেহ বারডেম হাসপাতালের শব হিমাগারে রাখা হবে। আগামীকাল সোমবার ময়মনসিংহের ভালুকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।